Owned for 1year+ [] Ridden for 10000km+
This user provides ratings about this bike

8 out of 10





টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ মোটরসাইকেল রিভিউ - রাহী

কেন এই মডেলটি কিনলাম?
পুর্বেই বলেছি বিশেষ কোনো কারন ছিলো না এই মডেলটি কেনার জন্য। বন্ধু মহল এবং পরিচিত কয়েকজনকে প্রশ্ন করে জানতে পারি আরটিআর এর সুবিধার কথা। আর এর স্টাইলিশ লুক, তেল সাশ্রয়ী ইনজিন এবং চিতার ক্ষিপ্রতা ইনজিন আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করে।
বাইকটি কেনার দিনের ঘটনা এখনও মনে আছে। মৃধা মটরস, তাহেরপুর, রাজশাহী থেকে আমি বাইকটি কিনি। বাইকটি কিনতে সামান্য কিস্তি সুবিধা নিতে হয়েছে। অধিকাংশ টাকাই কেনার সময় পরিশোধ করি আর বাকি টাকা পরবর্তি দুই মাসে পরিশোধ করি। এ ক্ষেত্রে মৃধা মটরস খুবই আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছে।
বাইকটি চালানোর অভিজ্ঞতা
এই বাইকটি চালানোর অভিজ্ঞতা বলতে গেলে আমাকে বলতেই হয় “চমৎকার”। বাইকটি নিয়ে এলাকার মধ্যে চলাচল করে এবং লং জার্নিতে সব সময়েই ছিলো আরামদায়ক। গ্রামের মাটির রাস্তায় কিংবা শহরের পাকা রাস্তায় অথবা লং জার্নিতে সব সময়েই বাইকটি আমাকে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েছে। একজন সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে সাথে থেকেছে। গ্রামের অল্প পথ যেমন পাড়ি দিয়েছি তেমনি একদিনে শতাধিক কিলোমিটারও পাড়ি দিয়েছি। যাত্রাপথে কখনও অস্বস্তি অনুভব হয়নি। দূরের যাত্রায় ক্লান্তি বা কষ্ট কখনও লাগে নাই।

শুরু থেকেই আমি এই বাইকের মাইলেজ এবং স্পীড দুটোর প্রতিই সন্তুষ্ট। স্পীড নিয়ে আরটিআর এর সুনাম সবার কাছেই। আর বাইকের গতি এবং শক্তির বিবেচনায় মাইলেজও আমি মনে করি যথেষ্ট ভালো। মাটির রাস্তা এবং পাকা রাস্তায় মিলিয়ে আমার কাছে ৪৫-৫০কিমি প্রতি লিটারে পেয়েছি। যা আমার কাছে যথেষ্ট মনে হয়েছে। আর স্পীডের ক্ষেত্রে প্রথমেই বলে নেই আমি বাইক সব সময়েই সীমিত স্পীডের মধেই চালাই। তবুও শখের বশে একদিন ১০২ কিমি/ঘন্টা তুলেছিলাম। অন্যান্য আরটিআর ব্যবহারকারীর কাছে এটি তেমন আহামরি নয় আমি জানি। কেননা অনেকেরই নাকি ১৩০কিমি/ঘন্টা স্পীডে এই বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা আছে।
কন্ট্রোল
অন্য মোটরসাইকেল চালিয়ে ব্রেকিং এর সময় চাকা স্লিপ করার ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে কিন্তু আমি আমার আরটিআর এ কখনও এমন ঘটনার সম্মুখিন হই নাই। মনে হয়েছে বাইকটির কন্ট্রোল যথেষ্ট ভালো। একা কিংবা পেছনে পিলিয়ন নিয়ে কোনো অবস্থাতেই কন্ট্রোলিং এ সমস্যা অনুভব হয় নাই।
বাইকের যত্ন
যত্নে রত্ন মিলে। তাই যার উপরে আমার অনেক সময় কাটে তাকে তো যত্ন নিতেই হয়। নিজে নিয়মিত বাইকের ছোটোখাটো ওয়াশ এবং ক্লিনিং গুলো করে থাকি আর প্রয়োজনে মেকানিকসের দ্বারস্ত হই। তারা যত্নের সাথেই আমার বাইকের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো করে দিয়ে থাকে। প্রতি ১০০০কিমি অন্তর বাইকের ইনজিন অয়েল পাল্টাই।
TVS Apache RTR এর ভালো দিক
১. চমতকার কন্ট্রোল
২. পাওয়ালফুল ইনজিন
৩. রেডী পিকআপ
৪. হেডলাইটের শক্তিশালী আলো
৫. ০-৬০কিমি তুলতে ৫-৬ সেকেন্ড সময় লাগে
৬. স্টাইলিশ লুক
কিছু খারাপ দিক
১. বাইকের পার্টসগুলোর দাম বেশি
২. চেইন কভার না থাকায় গ্রামের রাস্তায় একটু দ্রুত ময়লা হয়ে যায়
৩. দুরের রাস্তায় ইনজিন গরম হয়ে যায়
সন্তুষ্টির লেভেল সবার এক নয়। আমি আমার বাইকে সন্তুষ্ট। বিগত দুই বছরে ইনজিনের সামান্য সমস্যাও অনুভব করিনি। নতুনের মতোই সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। আমি যেমন আশা করেছিলাম তেমনিই সার্ভিস পেলে নতুর করে আর কি চাই?