আসসালামু আলাইকুম
পহেলা নভেম্বর 2019 সাল থেকে আমি APACHE RTR 4V 160 ব্যবহার করে আসছি,বাইকটি ক্রয় করেছিলাম মগবাজার অবস্থিত রয়েল অটোস এর শো রুম থেকে।
দীর্ঘ আট মাসের ভিতর দুইমাস পুরোপুরি বন্ধ ছিল লকডাউন এর কারণে ,এই হিসেবে আমি বাইকটি চালিয়েছি ছয় মাসে মাত্র 15 হাজার 200 কিলোমিটার।
আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব এই বাইকটি সম্পর্কে ছোট্ট একটা রিভিউ।
Apache RTR 160 4V সম্পর্কে যাদের ধারণা আরটিআর মানেই অনেক ভাইব্রেশন কন্ট্রোল একদম ভালো না তাদেরকে বলব আপনাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
হাইওয়েতে 10,000 কিলোমিটারেরও বেশি চালিয়েছি এই বাইকটি। একটানা দেড়শত কিলোমিটার চালানোর পরেও এটা অনুভব হয় নিযে পাওয়ার কমে যাচ্ছে সেই সাথে আরো উপলব্ধি হয়নি কোমরে ব্যথা।
কন্ট্রোলিং আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আমার কখনোই উপলব্ধি হয় নাই যে আমি APACHE RTR 4V 160 চালাচ্ছি কথাটা এই ভাবে বলার কারণ,এক সময় মাইন্ড সেটআপ হয়েগিয়েছিল RTR মানেই ভাইব্রেশন RTR মানে কন্ট্রোল খারাপ তাই রাইড করতে করতে আমি ভুলে যাই আমি কি APACHE RTR 4V 160চালাচ্ছি নাকি অন্য কোন প্রিমিয়াম বাইক।
এইবার বাইকটা সম্পর্কে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা না বললেই না।
চতুর্থ গিয়ার পর্যন্ত এই বাইকটা নিয়ে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব কিন্তু পঞ্চম গিয়ারে একটু দুর্বল হয়ে যায় চতুর্থ গিয়ারের তুলনায়। বাইকটির বিল্ড কোয়ালিটি বাইকটির মূল্য অনুযায়ী ভালো কিন্তু বাইকটির যে জিনিসটা সব থেকে বেশি খারাপ বলে মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে টায়ার আমি স্টক টায়ার এর কথা বলছি ,অবশ্য এই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি টায়ার পরিবর্তন করে। আমার কাছে মনে হয় যদি একটি ভালো মানের টায়ার এই বাইকে লাগানো যায় তাহলে এটা বাংলাদেশের যেকোনো প্রিমিয়াম বাইকের থেকে কোন অংশে কম নয়।
মাইলেজ নিয়ে কিছু কথা-
এই বাইকে আমি মাইলেজ পাই ঢাকা শহরে 35 থেকে 37এবংহাইওয়েতে 42 থেকে 45।অনেকে প্রশ্ন করেন আমি কিভাবে এত মাইলেজ পাই কারণ অনেকেরই ধারণা এই বাইকে মাইলেজ পাওয়া কঠিন। এই কথার উত্তর খুব সহজভাবে দেই, আপনি যত এক্সিলারেশন করবেন জ্বালানি ততো বেশি খরচ হবে। সবসময় ছয় থেকে সাত হাজার আরপিএম এর ভিতর বাইক চালানো অভ্যাস করুন দেখবেন জ্বালানি সাশ্রয় হবে এবং মাইলেজ ভালো পাবেন, যেটাকে আমরা খুব সহজ ভাষায় বলি স্মার্ট রাইডিং।
বাইক নিয়ে অনেক কথাই হলো আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় না বললেই নয় যেমন হেলমেট,
সব সময় সার্টিফাইড ফুলফেস হেলমেট পড়ার অভ্যেস করুন।
স্যান্ডেল পড়ে বাইক চালাবেন না অবশ্যই জুতা পড়ে বাইক চালাবেন এবং দয়া করে কোন অজুহাত দিবেন না স্যান্ডেল পড়ার ইস্যুতে।একজন বাইকার এর সব থেকে বড় সফলতা হল সুস্থ ভাবে ঘরে ফিরে আসা।