আমি আব্দুর রহমান পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। আমার নিত্য দিনের যাতায়াত এবং অন্যান্য কাজের জন্য বাইকের খুবই প্রয়োজন অনুভব করি এবং সেই প্রয়োজন থেকেই বাইক কেনার আগ্রহটা আরও বেশি জাগ্রত হয়। বাইক কেনার কথা মাথায় আসলে আমার সামনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাইক হাজির হয় এবং সবগুলো বাইক আমার সুবিধা এবং বাজেট অনুযায়ী যাচাই বাছাই করি। সব কিছু যাচাই বাছাই শেষে আমি সিদ্ধান্ত নিই টিভিএস এপ্যাচি আরটিআর ৪ভি স্মার্টেক্সকানেক্ট কেনার জন্য কারণ এটা আমার বাজেট আমার চাহিদা ইত্যাদির সাথে খাপ খায়। এদিকে শুনেছি যে টিভিএস এর ৪ভি বাইকের ইঞ্জিন শক্তি এবং এক্সেলেরেশন অনেক বেশি যেটা আমার দরকার। তাই সব মিলিয়ে আমি ২০২০ সালের ২ই জানুযায়ী বাইকটা কিনি এবং কেনার পর এখন পর্যন্ত রাইড করেছি ১৫০০ কিমি। ব্রেক ইন পিরিয়ড আমি যথাযথভাবে পালন করছি। আজকে আমার এই বাইক নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু ভালো লাগা মন্দ লাগা শেয়ার করবো।
ভাল লাগার মধ্যে
-মাইলেজ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কারণ ৪ ভালভ যুক্ত ইঞ্জিন এই বাইকের সাথে আছে যেটা প্রিমিয়াম বাইকে থাকে এবং এই ৪ ভালভের ফলে মাইলেজ ২ ভালল ইঞ্জিনের চেয়ে কম কিন্তু আমি শহরের মধ্যে মাইলেজ পাচ্ছি ৪০ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৪৫ কিমি প্রতি লিটার যেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। এই বাইকের মাইলেজ নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট।
-এরপরে এই বাইকের ডিজাইন আমার নজর কেড়েছে। পূর্বের ৪ভি এর থেকে নতুন ৪ তি তে যুক্ত হয়েছে এলিডি ল্যাম্প যা রাতে দেখতে খুব ভালো লাগে।
-চালিয়ে অনেক আরামদায়ক এবং স্মুথ অনুভূতি। বেশি স্পীডে রাইড করলেও এই বাইকের কোন ভাইব্রেশন আমি লক্ষ্য করিনি।
-স্মার্টএক্সকানেক্ট এর ফলে আমি আমার বাইকের কী অবস্থা সেটা খুব ভালো বুঝতে পারি।
মন্দ লাগার মধ্যে
-বাইকের হ্যান্ডেলবার এর টারনিং রেডিয়াস অনেক বেশি যার ফলে শহরের রাস্তায় রাইড করতে গেলে একটু বেগ পেতে হয়। বিশেষ করে অলিগলিতে রাইড করা খুবই কষ্টকর এবং ট্র্যাফিক জ্যামের মধ্যেও।
একটি বাইকের ভালো দিকের পাশাপাশি মন্দ দিক থাকবে এটাই স্বাভাবিক এবং সেই মন্দ দিক নিজের মত করে মানিয়ে নিয়ে বাইক রাইড করলে আশা করা যায় আর সমস্যা হবে না। আমিও এই বাইকটি চালিয়ে দিনে দিনে এর সাথে অভ্যস্ত হচ্ছি এবং আশা করি এই টারনিং রেডিয়াসের সমস্যাটা অদুর ভবিষ্যতে আমার কাছে আর সমস্যা মনে হবে না। ধন্যবাদ সবাইকে আমার রিভিউটা সময় নিয়ে পড়ার জন্য।