আমার পেশাগত প্রয়োজনেই একটা মোটরসাইকেল খুব দরকার ছিল। আমি একজন ধার্মীক মানুষ আর আমার এলাকা সগুধু না আশেপাশের এলাকা সাথে জেলার বাইরেও আমাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া আসা করা লাগে। জেলার বাইরে আমার মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নাই তবে অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের জন্যে আমার মোটরসাইকেল একরকম্ অত্যাবশ্যক হয়ে গেছিল। যেহেতু সাধারন যাতায়াত আমার উদ্দেশ্য তাই আমি সাধারন একটা মোটরসাইকেল খুজছিলাম যা দিয়ে অল্প খরচে সবগুলা প্রয়োজন সম্পন্ন করা সম্ভব।
এই চিন্তায় আমি বাংলাদেশের স্বনামধন্য মোটরসাইকেল ব্রান্ড টিভিএসের শোরুমে গিয়ে দেখতে তাদের নতুন মডেল “টিভিএস মাক্স” যেটাকে আমি বলবো টিভিএস মেট্রো সিরিজের একটা নরুন মডেল যেটাকে সম্পুর্ন নতুন আংগিকে সাজানো হয়েছে গ্রাফিক্যাল আউটলুক এবং ডিজাইনগত বেশ কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে।
আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশে যে কয়েকটা নামকরা ব্রান্ড আছে তার মধ্যে টিভিএস অন্যতম এবং এই ব্রান্ডের যেকোন মডেলের ওপর ভরসা করা যায়। এই বিষয়টা মাথায় রেখে আমি টিভিএসের নতুন মডেল “টিভিএস মাক্স” বাইকটা কেনার সিদ্ধান্ত নিই কারন এই বাইকটা অন্য সব বাইকের মধ্যে ভিন্ন দেখাবে।
আজ প্রায় ৪০ দিন হল আমি বাইকটা ব্যবহার করছি আর এই সময়ের মধ্যে আমি আমার মোটরসাইকেলটা চালিয়েছি ৩০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এখন এই দুরুত্ব অতিক্রম করে একটা মোটরসাইকেলের ভাল মন্দ দিক বোঝাটা খুব কঠিন এবং আমি এখনও কোণ খারাপ দিক বুঝতে পারিনি শুধুমাত্র আমার মনে হয়েছে এর মিটার প্যানেলটা ডিজিটাল হলে খুব ভাল হতো কারন এখনকার সময়ে এনালগ মিটার প্যানেলটা দেখতে খুব একটা ভাল লাগে না।
সিটিং পজিশনটা খুব ভাল লেগেছে আমার কাছে কারন আমি এতে বসে সর্বোচ্চ আরাম পাচ্ছি। কালার কম্বিনেশনটা অনেক সুন্দর যা যে কারই ভাল লাগবে বলে আমি মনে করি। তাছাড়া এই মডেলটা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা যে কোন বয়সের ব্যক্তির সাথে খুব ভালভাবে মানাবে বলে আমি মনে করি।
মাইলেজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে আমি এখনও খেয়াল করিনি যে মাইলেজটা আসলে আমি কত পাচ্ছি। তবে আমার ধারনা আমি যে মাইলেজটা পাচ্ছি তা এই বাইকের সাথে যায়। কেনার পরে আমি তেল উঠিয়েছিলাম যা দিয়ে আমি এখনও চালাচ্ছি তাই বলায় যায় যে আমি বেশ ভাল মাইলেজ পাচ্ছি।
মোটরসাইকেল চালানোর সময় আমি কখনও তাড়াহুড়া করি না বা বেশি জলদি থাকলে অন্য পরিবহন খুজে নিই আর এই জন্যেই আমি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি টেস্ট করতে যায় নি। একটানা চালিয়েছি বলতে গেলে ৬০ কিলোমিটার প্রায়।