আমার প্রতিদিনের প্রয়োজনেই একটা মোটরসাইকেল খুব দরকারী হয়ে গিয়েছিল এর মুল কারন হলো শহর থেকে আমার বাড়ি একটু দূরে আর আমার পেশাগত প্রয়োজনে আমাকে শহর ছাড়াও আরও অনেক দুরদুরান্তে যাওয়া আসা করা লাগে। তাই আমার এমন একটা মোটরসাইকেল দরকার ছিল যার দ্বারা আমি পথে চলার সব রকম প্রয়োজন সহজে এবং কোন সমস্যা ছাড়াই মেটাতে পারি।
এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে আমি টিভিএসের শোরুমে যায় এবং দেখি প্রচুর মোটরসাইকেল। বলা বাহুল্য, কোন ব্যক্তি যদি বাইক কেনার ইচ্ছায় টিভিএস এর শোরুমে যায় তবে তিনি বাইক না কিনে ফিরতে পারেন না বলেই আমি মনে করি কারন টিভিএস এর বাইক কালেকশন এবং বাইকের ভ্যারাইটি এত পরিমান আছে যা থেকে যে কারও পক্ষে নিজের জন্যে বেছে নেওয়া খুব সহজ।
আমি যখন নিজের জন্যে মোটরসাইকেল দেখা শুরু করলাম, আমার নজর কাড়লো সেসময় সদ্য বাজারে আসা টিভিএস মাক্স ১২৫সিসি। বলে রাখা ভাল যে এই বাইকটা শোরুমের অন্য সব বাইকের থেকে আলাদা। আমার সাথে যাওয়া প্রত্যেকেই আমাকে পরিচিত মডেলের মধ্যে থেকে বাইক পছন্দ করার জন্যে পরামর্শ দিলেও আমি একটু ব্যতিক্রম টিভিএস মাক্স বাইকটা কেনার পক্ষেই অনড় ছিলাম এবং শেষমেস সেটা কিনে নিয়েই বাড়ি ফিরলাম।
আমার হাতে এখন বাইকটার বয়স প্রায় ৪ মাস আর আমি এখন পর্যন্ত বাইকটা চালিয়েছি প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার। আমার বলতে ভাল লাগছে যে আমি এই বাইক থেকে যা আশা করেছিলাম তার থেকেও ভাল পারফরমেন্স পাচ্ছি। অন্যদিকে আমার এই বাইকটা যে ব্যক্তিই দেখে সে ই প্রশংসা করে আর প্রশংসা শুনতে কার না ভাল লাগে আর এই ভাললাগার অন্যতম কারন হলো আমি সবার কথা না শুনে এই বাইকটা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
এখন পর্যন্ত ব্যবহার করে আমি বাইকটাতে মাইলেজ সামান্য কম পাওয়া ছাড়া কোন সমস্যা বুঝতে পারিনি। আর মাইলেজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে আমি বর্তমানে মাইলেজ পাচ্ছি ৫০ – ৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার। একথা সত্য যে এই মাইলেজটা খুব বেশি কম না কিন্তু ১২৫সিসির বাইক হিসেবে অন্তত ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ আশা করাটা আমার জন্যে কোন অপরাধ বলে আমি মনে করি না।
অন্যদিকে এই বাইকের সবকিছুই আমার খুব ভাল লেগেছে, এককথায় খুব ভাল লেগেছে। তবে সবচেয়ে ভাললাগা যে বিষয়টি তা হলো আমি আমি যখনই বাইকটার গতি ৭৫-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পার করি তখন আমার বাইকটা আমাকে আরও স্মুদ পারফরমেন্স দেয়। এই ব্যাপারটা আমাকে সত্যিই অবাক করেছে কারন আমি শুনেছিলাম এমন ঘঠনা শুধুমাত্র ১৫০সিসির বাইকে হয়ে থাকে আর ১২৫সিসির বাইকে এমন ঘঠনা আমি কখনও কারও কাছেই শুনিনি।
গেল ৪ মাসের মধ্যে আমি আমার বাইকটা একদিনে একটানা সর্বোচ্চ চালিয়েছি ১৭০ -১৮০ কিলোমিটার প্রায় সেখানে আরাম নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নাই এমনকি বাইকের পারফরমেন্স নিয়েও আমি অনেক সন্তুষ্ট। এত দুরের পথ একটানা চালিয়েও আমি ইঞ্জিনে কোনরকম সমস্যা অনুভব করিনি, এমনকি অতিরিক্ত গরম হউয়া বা বাজে শব্দ করাও না।
আর সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছিলাম ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং মজার ব্যাপার হলো আমি বুঝতেই পারছিলাম গতিটা আরও উঠানো যাবে কিন্তু পথের অবস্থা এবং অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনায় আর গতি উঠায়নি।
এই ৪ মাসে আমার যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা আমি উল্লেখ করে দিয়েছি। পরবর্তীতে আবারও হাজির হবো নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে। সবাইকে ধন্যবাদ, সময় নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা পড়ার জন্যে।