১২৫ সিসি বাইকের মধ্যে আমার কাছে TVS Raider 125 বাইকটা একটু ব্যাতিক্রম মনে হয়েছে। যখন এই বাইকটি বাংলাদেশের বাজারে প্রথম আসে তখন থেকেই এর লুকস, ডিজাইন, এবং ফিচারস আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এবং এটা কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি। আজ সুযোগ হয়েছে এই বাইকটা কেনার এবং আমি এই বাইকটি বিগত ৬ মাস যাবত ব্যবহার করে ৪৫০০ কিমি রাইড করে ফেলেছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো আমার TVS Raider 125 বাইক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা। আশা করি যারা এই বাইকটা কিনবেন তাদের জন্য তথ্যগুলো অনেক উপকারে আসবে।
TVS Raider 125 বাইকের ভালো দিকের মধ্যে যা যা পেয়েছি
• আমার কাছে সবার প্রথমে যে বিষয়টি ভালো লেগেছে তা হল এই বাইকের ইঞ্জিনের শক্তি। ৩ ভালভ বিশিষ্ট এই ইঞ্জিন অনেক শক্তি উৎপাদন করতে পারে যা ১২৫ সিসির বাইক হিসেবে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
• ডিজাইনের দিক থেকেও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে কারণ এই সেগমেন্টের মধ্যে অন্যান্য ১২৫ সিসি বাইকের এই রকম স্পোর্টস ডিজাইন নেই। এদিকে সামনের হেডল্যাম্প , পেছনের টেল ল্যাম্প , মাস্কুলার ফুয়েল ট্যংক ইত্যাদি সব মিলিয়ে ডিজাইনের দিক থেকে অনেক সুন্দর একটি বাইক এই TVS Raider 125।
• ব্রেকিং সিস্টেম ও টায়ারের গ্রিপিং চমৎকার লেগেছে যার কারনে আমি অনেক স্মুথ ও নিরাপদে রাইড করতে পারি।
মিটার কনসোল অনেক প্রিমিয়াম এবং এখানে অনেক অনেক ফিচারস দ্বারা পরিপুর্ন। যেমন এখানে একটা ফিচারস আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে তা হল Trip F , এর দ্বারা বুঝা • যায় যে বাইকের তেল রিজার্ভে চলে এসেছে যা ১,৭৫ লিটার। এই ফিচারসটা আমার কাছে অনেক উপকারি মনে হয়েছে।
• শহরের মধ্যে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৫৫ কিমি এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পাচ্ছি ৬০ কিমি প্রতি লিটারে। আমার কাছে মাইলেজ অনেক ভালো লেগেছে।
এইবার বলি TVS Raider 125 এর মন্দ দিক
• আমার কাছে হ্যান্ডেলবারটা একটু হেলানো মনে হয়েছে যার ফলে যখন আমি শহরের মধ্যে কিংবা পিলিয়ন নিয়ে রাইড করি তখন আমার কাছে একটু কম আরামদায়ক মনে হয় ।
১২৫ সিসির একটি বাইক হিসেবে দামটা আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে। এছাড়া আর কোন সমস্যা আমি খুঁজে পাইনি।
• TVS Raider 125 নিয়ে এই ছিলো আমার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা । আশা করি এই বাইকের ভালো মন্দ বিষয় আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং যারা কিনতে চান তাদেরকে আমি বলবো যে ১২৫ সিসি বাইকের মধ্যে এটা বেস্ট বাইক , আপনারা নিঃসন্দেহে কিনতে পারেন।