ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আমাকে প্রতিদিন বাড়ি থেকে দোকানে যাওয়া আসা করা লাগে তাও আবার দুই বা তিনজনকে, সেইদিক দিয়ে আমাদের যাওয়া আসার খরচ অনেক বেশি হয়ে যায় তাই একটা মটরসাইকেল হলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো এমন চিন্তা থেকেই মোটরসাইকেলের নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটা মোটরসাকেল নেওয়ার যা দিয়ে আমাদের সব রকম কাজ তো হবেই সাথে ভাল মাইলেজ এবং সব রকমভাবে ব্যবহার করা যাবে কারন আমাদের পরিবারের দুই তিনজনের হাতে সে বাইকটা ব্যবহার হবে।
এই সকল বিষয়গুলা বিবেচনায় রেখে আমরা শোরুমে গিয়ে পছন্দ করি টিভিএসের সবশেষ কমিউটার মোটরসাইকেল রেডন মডেলটা আজ প্রায় ২৮ দিন হলো এই বাইকটা আমরা ব্যবহার করছি আর এই সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেলটা চালানো হয়েছে প্রায় ১১০০ কিলোমিটার বা তার কিছু বেশি। একথা বলে রাখা ভাল যে এই সামান্য ব্যবহারে একটা মোটরসাইকেলের প্রকৃত পারফরমেন্স বোঝা না যাওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু কিছুদিক আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি যেগুলা আরও ভাল হতে পারতো তারমধ্যে অন্যতম হলোঃ
মাইলেজঃ ১১০সিসির একটা বাইকে স্বভাবিকভাবেই সবাই একটু নেশি মাইলেজ আশা করে এবং আমি নিজেও এইরকম আশা নিয়েই বাইকটাই কিনেছিলাম যেন আমি বেশি মাইলেজের সার্ভিসটা পাই কিন্তু দুঃক্ষের বিষয় হলো আমি বর্তমানে মাইলেজ পাচ্ছি সর্বোচ্চ ৩২ কিলোমিটার প্রতি লিটার যা আমাকে একরকম হতাশ করে ফেলেছে।
শোরুম থেকে বলা হচ্ছে ৩০০০ কিলোমিটার চলার পরে সার্ভিস করালে ঠিক হয়ে যাবে এখন তাদের কথায় ভরসা করা ছাড়া অন্যকোন উপায় দেখছি না।
ইঞ্জিনঃ এখানে যে সমস্যাটা আমাকে বিরক্ত করছে তা হলো চালাতে চালাতে হুটহাট ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আর পিক আপ হাই থাকলে অনেক সময় কটকট করে কেমন যেন একটা শব্দ হচ্ছে।
এখন যদি ভাল লাগা দিক নিয়ে বলতে হয় তবে আমি যে উল্লেখিত সমস্যাগুলি বাদে এই বাইকের সবকিছুই ভাল কিন্তু মাইলেজের ব্যাপারটা চিন্তা করলেই আমার মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
এই সেগমেন্টের আরও অনেক বাইক থাকার কেন আমি এই বাইকটা পছন্দ করলাম? এই প্রশ্নের একাংশ উত্তর আমি ওপরের অংশে দিয়েছি তারপরেও যদি বলতে হয় তাহলে আমি সবার আগে উল্লেখ করবো টিভিএসের ইন্সটলমেন্ট সুবিধা এবং এই মোটরসাইকেলটার অনেক বড় সিটিং পজিশন যা আমাকে সহজেই দুইজন বা মালপত্র সাথে নেওয়া সুবিধা দিবে।