সাধারন প্রয়োজনেই একটা মোটরসাইকেলের খুব দরকার এবং তা শুধু আমার প্রয়োজন বলে মনে করি না বরং শহরে বসবাসরত সকলেরই দরকার। আর আমাকে আমার কর্মস্থলে প্রতিদিনই যাতায়াত করা লাগে যার জন্যে প্রতিদিন অল্প অল্প করে খরচ হয়ে যায় সাথে অন্যান্য যাতায়াতের প্রয়োজন তো আছেই। সেজন্য আমি প্রয়োজন বিবেচনায় একটা মোটরসাইকেল কেনার কথা চিন্তা করছিলাম বেশ কিছুদিন থেকে যা আমার প্রয়োজন মেটাবে সাথে আমার সাথে মানাবেও। মানানের কথা বলছি কারন আমি একজন আন্ডার ওয়েট মানুষ।
টিভিএস এক্সএল-১০০ ইএস এক্ষেত্রে আমাকে অনেকখানী ইম্প্রেস করতে সক্ষম হয়েছে সকল দিন দিয়ে। আমি এই বাইকটা দেখার পর প্রতজম যে বিষয়টা আমার মাথায় আসে তা হলো “এই বাইকটা সম্ভবত আমার মত মানুষের জন্যেই তৈরি করা হয়েছে, কথা সত্য হতেও পারে কারন প্রতিটা কোম্পানীর প্রতিটা পন্য তৈরির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা পলিসি থাকে”।
আজ মোটামুটি ২১ দিন আমি টিভিএস এক্সএল-১০০ ইএস বাইকটা ব্যবহার করছি। মুলত আমার সাধারন যাতায়াতের জন্যেই ব্যবহার করি তাই এখন পর্যন্ত মাত্র ৩২০ কিলোমীটার চালানো হয়েছে। সত্যি কথা বলতে এই বাইকটা অনেকের কাছে বাইক মনে নাও হতে পারে। আমার খুব কাছের অনেকেই ভাবেন এটা হয়তো ব্যাটারী চালিত একটা বাইক। কিন্তু এটা বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশে নামকরা মোটরসাইকেল ব্রান্ড টিভিএসের তৈরি একটা বাইক যা থাকে আমি এখন পর্যন্ত কাংক্ষিত সকল পারফরমেন্সই পেয়েছি।
একটা বিষয় আমার কাছে সমস্যা মনে হয়েছে যেটা আসলে সময়ের কারনে হতে পারে। সকালে সেলফ স্টার্ট ঠিকমত কাজ করছে না এবং এই সমস্যাটা সময়ের কারনে বলার উদ্দেশ্য হল, এখন শীত আর শীতে কমবেশি সব বাইকেই ইঞ্জিন স্টার্ট করতে সমস্যা হয়।
মাইলেজ নিয়ে বলতে গেলে আমি এখনও ঠিকমত খেয়াল করিনি যে মাইলেজটা কতটুকু পাচ্ছি তবে আমার ধারনা আমি ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটার বা তার কিছু বেশি মাইলেজ পাচ্ছি বর্তমানে। ১০০সিসির একটা বাইক থেকে এই মাইলেজ রেঞ্জটা যথেষ্ট আমার কাছে।