দিন বদলের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা,অভিরুচি পরিবর্তন হচ্ছে এবং সেই সাথে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে জানার আগ্রহ ও পরিসীমা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন মানুষ নিত্য নতুন ডিজাইন সাথে আধুনিক প্রযুক্তির বাইকের সাথে অভ্যস্ত হচ্ছে । মোটরসাইকেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহী ক্রেতারা সর্বপ্রথম বাইকের লুক কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে তারপরে আসে বাইকের দাম। এই সব কিছু বিষয় বিবেচনা করে একটা মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো গবেষণা করে বাজারে নিয়ে আসে গ্রাহকদের চাহিদানুযায়ী আধুনিক সব ডিজাইনের বাইক। গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে ভিক্টর আর বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছিলো ভিক্টর আর ক্লাসিক ১০০ সিসির একটি বাইক যা ডিজাইন ও বাজেটের দিক থেকে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং গ্রাহকদের নতুন ডিজাইনের অভিজ্ঞতা দিতে সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে আসে ভিক্টর আর ক্যাফে রেসার ১২৫। আমরা জানি যে ক্যাফে রেসার বাইকগুলোর আমাদের দেশে অন্যান্য বাইকের থেকে ভিন্ন চাহিদা রয়েছে এবং তরুণদের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি সেগমেন্ট হচ্ছে ক্যাফে রেসার। সেই ক্যাফে রেসারের অনুভুতি দিতে বাংলাদেশের বাজারে ভিক্টর আর নিয়ে এসেছে তাদের ১২৫ সিসির ক্যাফে রেসার বাইক যার নাম ভিক্টর আর ক্যাফে রেসার ১২৫। বাইকটির দৃষ্টিনন্দন আউটলুক এবং ফিচারস আশা করা যায় বাংলাদেশের বাইকাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম। চলুন তাহলে এক পলক দেখে নেওয়া যাক এই ক্যাফে রেসার বাইকটিতে কী কী ফিচারস সংযোজন করে হয়েছে এবং ডিজাইন ও ডাইমেনশন কেমন রাখা হয়েছে।
ডিজাইন ও ডাইমেনশন
প্রতিটা বাইকের ডিজাইনে কিছু বৈচিত্র্য থাকে। আমরা জানি যে ক্যাফে রেসার বাইকগুলো মূলত অন্যান্য সাধারন বাইকের থেকে ডিজাইনে একটু ভিন্ন থাকে। ভিক্টর আর ক্যাফে রেসার ১২৫ বাইকটিতে রয়েছে সুন্দর ক্যাফে রেসার বাইকের ডিজাইন যা গ্রাহকদের খুব সহজেই আকৃষ্ট করবে । সেই সাথে রয়েছে নজরকাড়া কালার কম্বিনেশন । সামনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে গোলাকার স্টাইলিশ হেডল্যাম্প যা খুব সুন্দরভাবে সংযোজন করা আছে এবং এই গোলাকার হেডল্যাম্প ক্যাফে রেসার বাইকের মূল পরিচয় বহন করে । গোলাকার হেডল্যম্পের সাথে আরও রয়েছে গোলাকার মিটার কনসোল, সুন্দর ফুয়েল ট্যংকার, ভিন্নধর্মী সিটিং পজিশন, ভিন্ন ধরনের স্পক, এক্সজস্ট, হ্যান্ডেলবারের সাথে লুকিং গ্লাস যা আমরা এর আগের ভিক্টর আর ক্লাসিক বাইকে লক্ষ্য করেছি, স্পোক হুইল, সামনের ও পেছনের সাসপেনশন সব মিলিয়ে বাইকটিতে রয়েছে ক্যাফে রেসার বাইকের ছাপ এবং আশা করা যায় যে এটা খুব সহজেই গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।
এদিকে ডাইমেনশনে রয়েছে লম্বায় ১৯০৫ মিমি, চওড়ায় ৮৮০ মিমি এবং উচ্চতায় ১০৮০ মিমি । গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৭০ মিমি, হুইলবেজ ১২৪৫ মিমি এবং সব মিলিয়ে বাইকের ওজন ৯৫ কেজি। ফুয়েল ট্যাংকারে তেল ধারন ক্ষমতা রয়েছে ১২.৫ লিটার যা ১২৫ সিসির বাইক হিসেবে উপযুক্ত।
ইঞ্জিন
ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়েছে ১২৪.৮৭ সিসির সিংগেল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন যা ম্যাক্স পাওয়ার ৭.৮কিলোওয়াট@ ৮৫০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ৮.৮ এনএম@৭৫০০ আরপিএম উৎপন্ন করতে সক্ষম । ইঞ্জিনে রয়েছে ৫ স্পীড গিয়ার বক্স যা ১২৫ সিসি বাইক হিসেবে যথেষ্ট এবং ইঞ্জিন চালু করার জন্য আছে ইলেকট্রিক এবং সেলফ স্টার্ট অপশন।
টায়ার, সাসপেনশন এবং ব্রেকিং
ভিক্টর আর ক্যাফে রেসার ১২৫ বাইকটিতে রয়েছে সামনের দিকে ৯০/৯০-১৭ সাইজের টায়ার এবং পেছনের দিকে রয়েছে ১১০-৮০/১৭ সাইজের টায়ার। বাইকটির হুইলের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সেখানে আধুনিক ডিজাইনের স্পট রিম ব্যবহার করা হয়েছে যাকে অভিনব ডিজাইনের ক্যাফে রেসার বাইক বলা যায়।
বাইকটিকে চলার পথে আরও আরামদায়ক করতে এবং এবং রাইডারের আরাম নিশ্চিত করতে সামনের ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের টেলিস্কোপিক সাসপেনশন যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয় করা হয়েছে এবং পেছনের দিকের ব্যবহার করা হয়েছে টুইন সাসপেনশন।
ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক। আশা করা যায় বাংলাদেশের রাস্তায় বাইকটি খুব ভালো পারফরমেন্স দিবে।
মিটার কনসোল ও ইলেকট্রিক্যাল
মিটার কনসলে রয়েছে এনালগ স্টাইলিশ মিটার কনসোল যা বাইকটিকে আসোল ক্যাফে রেসার বাইকের রুপ দিয়েছে। ইগনিশন সিস্টেম মিটারের সাথে নয় এবং এটা ডান পার্শ্বে ইঞ্জিনের ঠিক কোণাকোণি অংশে রয়েছে। অন্যদিকে ইলেকট্রিক্যাল দিকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে রাইডারের সকল প্রয়োজনীয় ফিচারস রয়েছে এবং সেগুলো অনেক আধুনিক ।
সবশেষে বলা যায় যে বাংলাদেশের তরুণদের আকৃষ্ট করতে যে বাইকগুলো বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছে সে সকল বাইকের মধ্যে ভিক্টর আর ক্যাফে রেসার বাইকের নামও সংযোজন করা যায় কারণ এর ডিজাইন, ডাইমেনশন এবং ক্যাফে রেসার লুক যে কোন রাইডারদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে । বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি বাইক হিসেবে পরিনত হবে ভিক্টর আর ক্যাফে রেসার ১২৫।