বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে ৮০ থেকে ১০০ সিসির বাইকগুলোর চাহিদা বেশি পরিলক্ষিত হয়। শহরে কিংবা গ্রামে ৮০ থেকে ১০০ সিসির বাইকগুলো বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন স্টাইলিশ বাইক রয়েছে এবং মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো চেষ্টা করছে ৮০ থেকে ১০০ সিসির বাইকগুলোতে ভিন্নধর্মী ও স্টাইলিশ ডিজাইন দেওয়ার। ভিক্টর আর মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানী বাংলাদেশের বাইক প্রেমিদের জন্য স্বল্পদামে চমৎকার কিছু বাইক নিয়ে লোকাল মার্কেটে এসেছে এবং তাদের স্টাইলিশ বাইকের মধ্যে যে বাইকটির নাম না বললেই নয় সেটি হল ভিক্টর আর ক্লাসিক। ১০০ সিসির এই বাইকটি সহনীয় দামের মধ্যে প্রায় সকল ফিচারস দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভিক্টর আর এবং এর ক্লাসিক লুকের জন্য কিছু কিছু বাইকপ্রেমিদের অবশ্যই মন জয় করবে। তাই চলুন এক পলক দেখে নেওয়া যাক ১০০ সিসির ক্লাসিক্যাল ডিজাইনের এই বাইকটিতে কি কি ফিচারস রয়েছে।
ডিজাইন
সবার প্রথমে এই বাইকটির যে বিশেষ দিকটি সকলের নজর কাড়বে সেটি হল এর ক্লসিক্যাল ডিজাইন। বাইকটির ক্লাসিক্যাল বডি কিট এবং কালার কম্বিনেশন দুইটা মিলিয়ে ক্লাসিক একটা ভাব রয়েছে। অন্যদিকে স্পোক রিম, ফুয়েল ট্যংকার, সাসপেনশন,মিটার কনসোল সব কিছু মিলিয়ে ক্লাসিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই বাইকটিতে। সিটিং পজিশন এবং পেছনের টেল ল্যাম্প দেখে একটু ক্যাফে রেসার বাইকের মতো লাগে। তবে সব মিলিয়ে বাইকটির ডিজাইন এর নামের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ডাইমেনশন
বাইকটি আকারে তেমন বেশি বড় না। এই বাইকের ডাইমেনশন মধ্যে রয়েছে ৮ লিটারের ফুয়েল ট্যংক, ৭৬০ মিমি সিটের উচ্চতা, ১৭০ মিমি উচ্চ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স। বাইকটির হ্যান্ডেলবারটা এর আকারের তুলনায় বেশ বড় এতে কিছু কিছু রাইডার সমস্যা অনুভব করলেও হ্যান্ডেলবারটা বাইকটাকে দেখতে অনেকটা ক্যাফে রেসার বাইকের মত করেছে। আর সব মিলিয়ে বাইকটার ওজন প্রায় ৮০ কেজি।
ইঞ্জিন
ক্লাসিক ডিজাইনের এই বাইকের ইঞ্জিন ১০০ সিসি এয়ার কুল্ড ৪ স্ট্রোক যা ৫.৫ ম্যাক্স পাওয়ার এবং ৪.৫ এনএম ম্যাক্স টর্ক উৎপাদন করতে পারে। ভিক্টর আর দাবি করে যে তাদের এই বাইকটি মাইলেজ সরবরাহ করবে লিটারে ৭০ কিমি এবং টপ স্পীড পাওয়া যাবে ৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা। ইঞ্জিন চালু করার জন্য কিক/সেলফ স্টার্ট অপশন রয়েছে এবং ৪টি ম্যানুয়াল গিয়ার ট্রান্সমিশন বক্স রয়েছে। ১০০ সিসির বাইক হিসেবে ইঞ্জিনের পাওয়ার আরেকটু বেশি দেওয়া দরকার ছিলো।
ব্রেকিং সাসপেনশন
ব্রেকিং এর দিক থেকে বাইকটি তার ক্লাসিক্যাল বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে অর্থাৎ উভয় দিকের ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু বর্তমানে রাস্তার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে অন্তত সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা উচিত।
সামনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে টেলিস্কোপিক ফরক এবং পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে টুইন শক সাসপেনশন। আশা করা যায় বাংলাদেশের রাস্তার জন্য সাসপেনশনগুলো আরামদায়ক রাইডিং অনুভূতি দিতে সক্ষম হবে।
টায়ার
সামনের স্পোক রিমের সাথে ব্যবহার করা হয়েছে ৭০/১০০-১৭ সাইজের টায়ার এবং পেছনে স্পক রিমের সাথে ব্যবহার করা হয়েছে ৮০/১০০-১৭ সাইজের টায়ার। স্পক রিমের জন্য বাইকটিতে ক্লাসিক্যাল লুক অনুভব করা যায়।
ইলেকট্রিক্যাল ও মিটার কনসোল
ইলেকট্রিক্যাল দিকের মধ্যে ১০০ সিসির এই বাইকটিতে রয়েছে ১২ ভোল্টের ব্যাটারী। ৩৫-৩৫ ওয়াট এর হ্যালোজিন হেডল্যাম্প , টেল ল্যাম্প, টার্ন ল্যাম্প। আর মিটার কনসোলটি সম্পূর্ণ এনালগ এবং এর মধ্যে ক্লাসিক্যাল কিছু বিষয় লক্ষ্য করা যায়।
সবশেষে, বাইকটির লাল, কালো এবং হলুদ রংয়ে বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে। এই বাইকটি মুল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ক্লাসিক্যাল লুক। যারা একটু ক্লাসিক্যল বাইক চালাতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই বাইকটি আশা করা যায় খুব ফলপ্রসূ হবে অন্যদিকে বাইকটির ওজন তুলনামূলক কম তাই ঝামেলাবিহিনভাবে শহরের মধ্যে রাইড করতে পারবেন। রাইডারের জন্য সিটিং পজিশন যথেষ্ট হলেও পিলিয়নের জন্য এর সিটিং পজিশন যথেষ্ট না তাই এই বাইকটি নিজে নিজেই রাইডার করা শ্রেয়। এখন দেখায় বিষয় আমাদের দেশে বাইকটা কেমন পারফরমেন্স দিচ্ছে।