যাতায়াতের জন্য ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে মোটরসাইকেলের তুলনা নেই। বিশেষ করে আমার মতো যাদের গ্রামে চলাচল করতে হয় তাদের জন্য মোটরসাইকেল আশির্বাদ স্বরূপ।আর তাই বর্তমানে গ্রামে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই অন্তত একটি করে মোটরসাইকেল রয়েছে। আমিও তাদের মধ্যে একজন যার একটি মোটরসাইকেলের প্রয়োজন অনেক।
আমি মো: আব্দুর রহমান। পেশায় শিক্ষক। বাড়ী থেকে কলেজ যাতায়াতের জন্য একটি মোটরসাইকেলের অনুভব করছিলাম দীর্ঘদিন ধরেই। বিশেষকরে বাড়ী থেকে দূরের কলেজে প্রতিদিন যাতায়াতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। আর তাই পরিবারের সিদ্ধান্তে আমি কিনে নেই বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোটরসাইকেল ব্রান্ড ইয়ামাহা এর এফজেডএস ম্যাট গ্রীন মোটরসাইকেলটি। যদিও এটি আমার প্রথম মোটরসাইকেল কিন্তু টাকা একটু বেশি লাগলেও ভালো জিনিসের আশাতেই এই মোটরসাইকেলটি পছন্দ করি।
প্রথমেই বলেত হয় মোটরসাইকেলটি ডিজাইনের কথা। ইয়ামাহা কোম্পানীর তৈরী মোটরসাইকেলের ডিজাইন নিয়ে বলার কিছু নেই। বিশেষ করে এর ম্যাট গ্রীন টা আমার অনেক বেশি ভালো লেগে যায় বলেই এই ডিজাইনটি পছন্দ করি। ডিজাইনটি আর সবার থেকে কিছুটা ভিন্ন আর তাই সবার চোখে পড়ে যায়।
মোটরাসাইকেলটির ইনজিন যথেষ্ট শক্তিশালী। পেছনে কাউকে নিয়ে চালাতে কোন বেগ পেতে হয় না। বিশেষ করে গ্রামের কাচা-পাকা রাস্তায় বেশ ভালো চলে। ইনজিনের শব্দ স্মুথ এবং দীর্ঘক্ষন চালালেও তেমন গরম হয় না।
মোটরসাইকেলটি চালিয়ে বেশ আরাম। বিশেষ করে সীটে বসে অনেক আরাম। হ্যান্ডেলটা একটু নীচু বলে ধরতে একটু সামনে ঝুকতে হয়। এর সুইচ গুলোর পজিশন খুবই সুন্দর। খুব সহজেই সুইচগুলো হাতের কাছে পাওয়া যায়। হেড লাইটের আলো পর্যাপ্ত। কিন্তু সর্বক্ষন হেডলাইটটি জ্বলে থাকে এটি খুবই বিরক্তিকর। সবার সমস্যা হয়।
বাইকটির কন্ট্রোলের কথা বলতে গেলে বলতেই হয় ইয়ামাহা এফজেডএস এর কন্ট্রোল বাংলাদেশ খ্যাত। এর শক্তিশালী ব্রেক, চওড়া চাকা এবং নরম সাসপেনশন বাইকটিকে কন্ট্রোলিং করতে অনেক সুবিধা দেয়।যে কোন গতিতেই বাইকটি ব্রেক করে থামানো যায়। কখনো্ চাকা স্লীপ করে না।
মোটরসাইকেলটির তেল খরচ আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে। বিশেষ করে অন্যান্য ইনডিয়ান ১৫০সিসি বাইকের তুলনাতে বেশি। হতে পারে আমার গ্রামের রাস্তার কারনে তেল খরচ বেশি লাগছে। তবে তেল খরচটি আরো কম হলে ভালো হতো।
স্টাইল, টেকসই এবং ভালো কন্ট্রোলের একটি মোটরসাইকেল যদি কেউ কিনতে চান তাহলে ইয়ামাহা এফজেডএস এর কথা মাথায় রাখতে পারেন।