৮ মাসে প্রায় ৬০০০+ কিমি পথ অতিক্রম করেছি। অনেকেই তাদের Fi এর অভিজ্ঞতা বিভিন্ন ফ্যান পেজে শেয়ার করেছে, সেইখান থেকেই আমার এই অনুপ্রেরনা। Fi এর অভিজ্ঞতা একান্তই আমার মনোভাব থেকে লেখা। আশা করি আমার সাথেই থাকবেন।
পূর্বে আমার Bajaj Pulsar 150 ug4 মডেলের বাইক ছিল, তা প্রায় ৩ বছরে ২০,০০০ কি মি চালিয়ে বিক্রয় করে দেই এবং অনেক স্বপ্নের Yamaha FZS Fi Matt Green SP Edition যশোর M/S Khan Auto থেকে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ কিনি। বলতে গেলে বাইক নেওয়ার আগের রাতে আমার ঘুমই হয়নি। আমার মনে আছে শোরুমের মালিক Sujon Khan বাইক আসলে আমাকে ফোন করেছিলেন, আমি বলেছিলাম কত দিন আপনার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম, উনি বলেছিলেন আমি কি আপনার গার্লফ্রেন্ড( Just Fun) যে ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন।আসলে উনিতো আমার গার্লফ্রেন্ডকে আটকে রেখে মুক্তিপন করেছিলেন(Only Fun).
এবার আসি আসল কথায়
আমি Pulsar ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি বাইক চালিয়েছি যেমন R15 v2/Apache/Discover। সেসব বাইকের গল্প না হয় আরেকদিন হবে আজ শুনি আমার Yamaha FZS Fi এর গল্প।
ইঞ্জিন: আমি বলব আমার কাছে খুবই স্মুথ লেগেছে (অন্য গাড়ির সাথে তুলনা করছি না), এর ১২+ টর্ক বেশ কার্যকরী।আমি টপ স্পিড উঠায়নি, সাধারণত ৫০-৯০ এর মাঝামাঝি চালাই।
বিল্ড কোয়ালিটি : আমি এটি কে ১০ এ ৯ দিব। অনেকে বলে এটি প্লাস্টিক এর ডিপো,তাদের বলব লোহার হ্যাভি ওয়েট বাইক হলে বডি বিল্ডার ছাড়া এটা কেউ কন্ট্রোল করতে পারত না। আমার বাইকের কোন সমস্যা আমি পাইনি শুধু চেইন ছাড়া। তবে কমপ্লেন করার কিছু দিনের মধ্যেই ACI Bangladesh Ltd তা পরিবর্তন করে দেয়।আর চেইন চেন্জ এর পর Fi এর আসল মজা পাওয়া যায়।Thanks ACI, কারন তাদের Customer Service আমার খুবই ভাল লেগেছে। ACI এর MD Abul Bashar ভাই এর কাছে কমপ্লেন করেছি ৩/৪ বার তারা প্রতিবারই যশোর থেকে ৬০ কি মি দূরে এসে সমস্যার সমাধান করে দিয়ে গেছে। Thanks for their cordial behave.
কন্ট্রোলিং: এ ক্ষেত্রে আমি তাকে ১০০ তে ১২০ দিব। কারণ আমার চালানো সেরা কন্ট্রোলিং বাইক FZS Fi. যে কোন টার্ন খুবই কনফিডেন্স এর সাথে করা যায় বিশেষ করে এটার ১৪০ স্টক টায়ার বেশ কাজের। ব্রেকিং সিস্টেমও খুবই সুন্দর দুই ব্রেক একসাথে ধরলে ৭০ স্পিডেও বাইক একটুও স্কিড বা কাত হয়নি।
আমি ২০০০কিমি এ ব্রেকইন শেষ করেছি। ব্রেকইন এ Yamaha lube 10w-40 use করেছি। ব্রেক ইন শেষে Motul 300v 10w40 use করি। Motul এর Performance খুবই ভাল, না use করলে বোঝানো যাবে না। এই ৬০০০ কি মি চালানোর মাঝে শুধু ওয়েল ফিল্টার ও ইঞ্জিন ওয়েল ছাড়া আর কিছু পরিবর্তন করা লাগে নাই।
আরেকটি জরুরি বিষয়, আমি দুইবার ফুয়েল ইন্জেক্টর ক্লিন করিয়েছি। ফুয়েল ইন্জেক্টর ক্লিন করে বাইকের পারফরমেন্স আসাধারন ভাবে চেন্জ হয়ে গিয়েছিল যা superb (বাইক একটু ধাক্কাইতো ও টান কমে গিয়েছিল)।
আমার ইচ্ছা বাইকটি আরও ৫ বছর চালাব। যত্নে রত্ন মেলে।৮ মাসে বাইক এখোনো নতুনের মত, যতটা সম্ভব আমি যত্ন করি। চাকরি করার কারনে বাইক বেশি চালানো হয় না যদিও আমি বাইক পাগল।
ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার এত বড় মতামত পড়ার জন্য।