Yamaha MT MT 15 ব্যাবহার অভিজ্ঞতায় Mahmudul Hasan

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাইক ব্যাবহারের ফলে বাইকের প্রতি অন্য লেভেলের ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। বাইক রাইড আমার অনেক আগে থেকেই ভালো লাগে। সেই ভালোলাগা ভালবাসায় কবে রূপান্তর হয়েছে ঠিক জানিনা। বর্তমান সময়ের আলোচিত ব্র্যান্ড ইয়ামাহা ব্যান্ডের বাইক Yamaha MT 15 ব্যাবহার করছি । দেড় বছরের ও বেশি সময় ধরে ব্যাবহার করছি এবং ২১০০০ কিলোমিটারের বেশি রাইড করেছি । এই বাইকটি কেনার মুল কারন বাইকের প্রতি ভালোবাসা সেই সাথে ট্রাভেল করা যায় দেশের টেকনাফ টু তেতুলিয়া পর্যন্ত। তাই বাইক সম্পর্কে স্বল্প কিছু তথ্য বাইকের ভালো মন্দ দিক গুলো নিয়ে কথা বলবো

বাইকের ভালো দিক পেয়েছি যেগুলোঃ

*সর্ব প্রথম বাইকের মাইলেজ বেশি পাওায়া টা ভালো লেগেছে পারফরমেন্স এর সাথে সাথে বাইকের মাইলেজ সিটিতে ৪২+ এবং হাইওয়েতে ৫২+ কিলোমিটার রাইড করছি আমার কাছে বেশ ভালো
লাগার আমার কাছে খুবই আরামদায়ক মনে হয়েছে বাইকের কমফোর্টেবল দিক থেকে এগিয়ে রাখবো যতই রাইড করিনা কেন আমি ক্লান্ত হবো না।

*ব্রেকিং সিস্টেম আমার কাছে ভালো লেগেছে যেখানে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস রয়েছে আমি এই বাইকের এবিএস রেসপন্স বৃষ্টি ভেজা রাস্তা কিংবা কাদামাটি রাস্তায় খুব ভালো ফিডব্যাক পেয়েছি। আমি আগে থেকেই জানি যে ইয়ামাহা অনেক কোয়ালিটি সম্পন্ন বাইক তৈরি করে এবং এটি ব্যবহার করে আমি সেটাই অনুভব করছি।

*ইঞ্জিন এর পারফর্মেন্স ও শক্তি খুবই ভালো। বাইকের রেডি পাওায়ার অনেক বেশি খুব দ্রুত ওভারটেক এর সময় অনেক কার্যকারী মনে হয়েছে ।

*বাইকের হেডলাইট টা অনেক এগ্রেসিভ। বাইকের হেডলাইট সবাই পছন্দ করে আমার কাছেও ভালো লাগে ।



বাইকের মন্দ দিকঃ

*ভালোর পাশাপাশি কিছু মন্দ দিক অর্থাৎ ভালো হতে পারত পিলিয়নের সিটিং পজিশন খুব একটা আরামদায়ক না। একটু বড় হলে ভালো হতো রাইডারের জন্য খুব সহজে রাইড করতে পারতো

আমি এই বাইকটা নিয়ে একদিনে রাইড করেছি ১৮০ কিলোমিটার এবং টপ স্পিড পেয়েছি ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। তাই বলতে মাইলেজ, পাওয়ার, লুকিং, পারফরম্যান্স, কোয়ালিটি, ব্র্যান্ড ভ্যালু, বাজেট ইত্যাদি সব দিক থেকে ইয়ামাহা এম টি ১৫ বাইকটা খুব ভালো লেগেছে। যারা বাইকটি ক্রয় করতে চান ক্রয় করতে পারেন সব মিলিয়ে আমার কাছে বাইকটি ভালো লেগেছে ধন্যবাদ সবাইকে।

All YAMAHA bike price in bd

Yamaha MT 15