2016-06-12
Yamaha R15 motorbike ownership review by Rad
শুধু আমাদের দেশেই না সমগ্র বিশ্বেই যেনো মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তা দিনদিন বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এই বাহনটির প্রয়োজনীয়তা যেমন অনস্বিকার্য অন্যদিকে বাহনটি চালানোও রোমাঞ্চকর। একদিকে কর্মজীবি মানুষের যেমন এই বাহন ছাড়া চলেই না ; অন্যদিকে তরুণদের কাছেও যেনো আধুনিকতা , স্মার্টনেসের প্রতীক হয়ে উঠেছে এই বাহনটি। মোটরসাইকেলের বিশেষত্ব অন্য কোন যানবাহনে নেই। কার- এর চেয়ে এর ফুয়েল খরচও অনেক কম। পার্কিং এর জন্য জায়গা কম লাগে। মেইনটেইন্যান্স খরচ কম, দামও কম। চালানোর জন্য আলাদা ভাবে ড্রাইভার রাখতে হয় না, আরো অনেক সুবিধা। বুদ্ধি হবার পর থেকেই দেখে এসেছি আব্বা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা মোটরসাইকেলকে তাদের চলাচলের অন্যতম বাহন হিসাবে বেছে নিয়েছেন। আমিও তাদের মতো মোটরসাইকেল চালাতে চাইতাম। মোটরসাইকেলের প্রতি তীব্র ভালোবাসার কারণেই মাত্র ১১ বছর বয়সেই বাইক চালানো শিখে নিয়েছিলাম। না , আমার আব্বা আমাকে শিখান নি শিখেছিলাম কাজিনের কাছে। তবে বাইক চালানো শিখে নেয়ার পরে আব্বার বাইক চালাতে ছাড়তাম না। সুযোগ পেলেই নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম। মোটরসাইকেলের প্রতি আমার আগ্রহ দেখে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পরে একদিন আব্বা নিজেই আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন বাইক কেনার কথা। আমি আমার আব্বাকে আমার স্বপ্নের বাইক Yamaha R15 V2 কেনার কথা বললাম । তিনি রাজি হয়ে গেলেন।
বাইকটি পছন্দ করার অনেক গুলি কারণ ছিল। প্রথমত স্পোর্টস বাইক আর অন্যান্য স্পোর্টস বাইকের তুলনায় এর স্টাইলও অনেক ভালো। কালার কম্বিনেশান আর এ্যারো-ডাইনামিক ডিজাইন আমাকে মুগ্ধ করেছিল। এই দুইটি দিক বাদ দিলে বাইকটি খুব মজবুত এবং দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী। এই সমস্ত বিষয়গুলি কাজ করেছিলো বাইকটি পছন্দ করার ক্ষেত্রে। প্রায় দেড় বছর ধরে বাইকটি চালাচ্ছি , চালিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আপনাদের না বললেই না।
অভিজ্ঞতা
রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স ? আমার বাইকে ? এক কথায় বলবো চমৎকার। বাইকটি চালিয়ে এতই মজা যে এর চালানোর অনেক মধুর অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি আমার বাইকটি শহরের রাস্তাতেই বেশী চালিয়েছি। স্পোর্টস বাইক শহরের ব্যাস্ত রাস্তায় এতো অবলীলায় চালানো যায় তা এই বাইক না চালালে বুঝবেন না। আমি কয়েক বার দূর পথ পাড়ি দিয়েছিলাম বাইকটি নিয়ে এবং কোন ঝামেলা ছাড়াই ভ্রমণ শেষ করতে পেরেছি। একবার তো ৩০০ কি.মি রান করেছিলাম বাইকটি নিয়ে। চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। বাইকটি নিয়ে দূর পথ পাড়ি দিতে গেলে আপনি মাইলেজ , স্পীড সাথে নিশ্চিত নিরাপদ অনুভুতি কোনটি থেকেই বঞ্চিত হবেন না। তবে হ্যাঁ বাইকটির সিটিং পজিশান আর হ্যান্ডেলের অবস্থানের কারণে কখনো কখনো পিঠে ব্যাথা অনুভব হয় বটে, তবে এই বিষয়টি বাদ দিলে আপনি বাইকেটির অন্য কোন বিষয় নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগই পাবেন না।
ইনজিন
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমি বাইকটির ইঞ্জিন পারফর্মেন্স নিয়ে খুশী প্রায় দুই বছর হতে চলল বাইকের ইঞ্জিনে হাত দেইনি। এর অন্যতম কারণ এই দীর্ঘ সময়ে বাইকটির ইঞ্জিন আমাকে কোনরূপ ঝামেলায় ফেলেনি। বাইকটির ইঞ্জিন ১৫০ সিসির’ Single cylinder , Liquid-cooled, 4-stroke, SOHC, 4-valve. ইঞ্জিন এর ম্যাক্স পাওয়ার 17 PS @ 8500 rpm এবং টর্ক 15 N m @ 6500 rpm । এই শক্তিশালী ইঞ্জিনের পারফর্মেন্স আপনাকে অভিযোগের কোন সুযোগই দিবে না। বাইকটি চালাচ্ছি এর ইঞ্জিন আমাকে ক্ষণিকের জন্যও বিব্রত করেনি। বাইকের ইঞ্জিন সাউন্ড প্রথম দিন যা ছিল আজ তাই আছে ।
স্পীড ও মাইলেজ
যেকোনো স্পোর্টস বাইক কেনার আগে যে বিষয়টি প্রথম মনে হবে তা হলো, এর টপ স্পীড কতো ? এই বিষয়ে যদি সন্তুষ্ট হন তখন , দ্বিতীয় যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হোল মাইলেজ কতো ? বাইকটি কেনার আগে এর স্পীডের ব্যাপারে জানলেও এর মাইলেজ কতো সে বিষয়ে আমার কোন ধারনাই ছিল না। কিন্তু কেনার পরে এর মাইলেজ দেখে আমি খুশি। আমি বাইকটির দুটি দিক নিয়েই দারুন খুশি। শুরু থেকেই বাইকটি স্পীডের দিক থেকে সেরা । আমি একবার সর্বচ্চ ১২৫ কি.মি গতিতে চালিয়েছিলাম এবং সেই সময় আমি কোন ডিসকম্ফর্ট ফিল করিনি। স্পীডের দিক থকে সেরা হলেও বাইকটি মাইলেজের দিকে কোন কম্প্রমাইজ করেনি। প্রথম দিকে আমি ৩৫ কি.মি / লিটার মাইলেজ পেলেও মাইলেজ এখন কিছুটা কমে গিয়েছে। বর্তমানে মাইলেজ আর স্পীড যদি একসাথে বিচার করতে বলেন তবে বলবো আমি সন্তুষ্ট।
যেভাবে যত্ন নেই
আপনি যদি যত্ন না নেন তবে কোন বাইকের কাছ থেকেই আপনি সর্বচ্চ পারফর্মেন্স আশা করতে পারেন না ; তাই বাইকের যত্নের ব্যাপারে আমার কোন অবহেলা নাই । বাইক ধুয়ে মুছে শাইনিং ক্রিম দিয়ে পলিস করি অন্তত মাসে দুইবার। প্রতি ১০০০ কি.মি চলার পরে বাইকের ইঞ্জিন ওয়েল বদলে ফেলি। শহরের ভীরের রাস্তায় বাইকটি চানানোর সময় আমি সতর্ক থাকি। এছাড়া বাইকটি চালানোর আগে এর ব্রেক , চেন , ব্যাটারির অবস্থা চেক করে নেই দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ।
ব্রেকিং ও সাসপেনশন
নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম আর সাস্পেশান দুটি গুরুত্তপূর্ন দিক। আর এই দুটি দিকই আমার এই বাইকে আধুনিক আর খুবই কার্যকরি। বাইকটির সামনে ও পেছনে দুটিই ডিস্ক ব্রেক। যেকোন পরিস্থিতে বাইক সামলে নেয়ার জন্য যা খুবই কার্যকর। আর বাইকটির সাস্পেনশান হোল Mono Shock absorber আধুনিক প্রযুক্তির এই সাস্পেনশান নিয়ে আমি বেজাই খুশী। মোট কথায় বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম আর সাস্পেনশান মসৃণ ও অমসৃণ উভয় রাস্তাতেই কার্যকরি ও আরামদায়ক।
মাত্র দুইবার বাইকটি সার্ভিসিং করিয়েছি , কিন্তু এর ইঞ্জিন এখনো ইন্ট্যাক্ট আছে। বাইকটি আমাকে পরিপূর্ণভাবেই সন্তুষ্ট করেছে এবং আমার বিশ্বাস বাইকটি চালানোর পরে যেকেউই আমার সাথে একমত হবেন ।
বাইকটি পছন্দ করার অনেক গুলি কারণ ছিল। প্রথমত স্পোর্টস বাইক আর অন্যান্য স্পোর্টস বাইকের তুলনায় এর স্টাইলও অনেক ভালো। কালার কম্বিনেশান আর এ্যারো-ডাইনামিক ডিজাইন আমাকে মুগ্ধ করেছিল। এই দুইটি দিক বাদ দিলে বাইকটি খুব মজবুত এবং দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী। এই সমস্ত বিষয়গুলি কাজ করেছিলো বাইকটি পছন্দ করার ক্ষেত্রে। প্রায় দেড় বছর ধরে বাইকটি চালাচ্ছি , চালিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আপনাদের না বললেই না।
অভিজ্ঞতা
রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স ? আমার বাইকে ? এক কথায় বলবো চমৎকার। বাইকটি চালিয়ে এতই মজা যে এর চালানোর অনেক মধুর অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি আমার বাইকটি শহরের রাস্তাতেই বেশী চালিয়েছি। স্পোর্টস বাইক শহরের ব্যাস্ত রাস্তায় এতো অবলীলায় চালানো যায় তা এই বাইক না চালালে বুঝবেন না। আমি কয়েক বার দূর পথ পাড়ি দিয়েছিলাম বাইকটি নিয়ে এবং কোন ঝামেলা ছাড়াই ভ্রমণ শেষ করতে পেরেছি। একবার তো ৩০০ কি.মি রান করেছিলাম বাইকটি নিয়ে। চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। বাইকটি নিয়ে দূর পথ পাড়ি দিতে গেলে আপনি মাইলেজ , স্পীড সাথে নিশ্চিত নিরাপদ অনুভুতি কোনটি থেকেই বঞ্চিত হবেন না। তবে হ্যাঁ বাইকটির সিটিং পজিশান আর হ্যান্ডেলের অবস্থানের কারণে কখনো কখনো পিঠে ব্যাথা অনুভব হয় বটে, তবে এই বিষয়টি বাদ দিলে আপনি বাইকেটির অন্য কোন বিষয় নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগই পাবেন না।
ইনজিন
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমি বাইকটির ইঞ্জিন পারফর্মেন্স নিয়ে খুশী প্রায় দুই বছর হতে চলল বাইকের ইঞ্জিনে হাত দেইনি। এর অন্যতম কারণ এই দীর্ঘ সময়ে বাইকটির ইঞ্জিন আমাকে কোনরূপ ঝামেলায় ফেলেনি। বাইকটির ইঞ্জিন ১৫০ সিসির’ Single cylinder , Liquid-cooled, 4-stroke, SOHC, 4-valve. ইঞ্জিন এর ম্যাক্স পাওয়ার 17 PS @ 8500 rpm এবং টর্ক 15 N m @ 6500 rpm । এই শক্তিশালী ইঞ্জিনের পারফর্মেন্স আপনাকে অভিযোগের কোন সুযোগই দিবে না। বাইকটি চালাচ্ছি এর ইঞ্জিন আমাকে ক্ষণিকের জন্যও বিব্রত করেনি। বাইকের ইঞ্জিন সাউন্ড প্রথম দিন যা ছিল আজ তাই আছে ।
স্পীড ও মাইলেজ
যেকোনো স্পোর্টস বাইক কেনার আগে যে বিষয়টি প্রথম মনে হবে তা হলো, এর টপ স্পীড কতো ? এই বিষয়ে যদি সন্তুষ্ট হন তখন , দ্বিতীয় যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হোল মাইলেজ কতো ? বাইকটি কেনার আগে এর স্পীডের ব্যাপারে জানলেও এর মাইলেজ কতো সে বিষয়ে আমার কোন ধারনাই ছিল না। কিন্তু কেনার পরে এর মাইলেজ দেখে আমি খুশি। আমি বাইকটির দুটি দিক নিয়েই দারুন খুশি। শুরু থেকেই বাইকটি স্পীডের দিক থেকে সেরা । আমি একবার সর্বচ্চ ১২৫ কি.মি গতিতে চালিয়েছিলাম এবং সেই সময় আমি কোন ডিসকম্ফর্ট ফিল করিনি। স্পীডের দিক থকে সেরা হলেও বাইকটি মাইলেজের দিকে কোন কম্প্রমাইজ করেনি। প্রথম দিকে আমি ৩৫ কি.মি / লিটার মাইলেজ পেলেও মাইলেজ এখন কিছুটা কমে গিয়েছে। বর্তমানে মাইলেজ আর স্পীড যদি একসাথে বিচার করতে বলেন তবে বলবো আমি সন্তুষ্ট।
যেভাবে যত্ন নেই
আপনি যদি যত্ন না নেন তবে কোন বাইকের কাছ থেকেই আপনি সর্বচ্চ পারফর্মেন্স আশা করতে পারেন না ; তাই বাইকের যত্নের ব্যাপারে আমার কোন অবহেলা নাই । বাইক ধুয়ে মুছে শাইনিং ক্রিম দিয়ে পলিস করি অন্তত মাসে দুইবার। প্রতি ১০০০ কি.মি চলার পরে বাইকের ইঞ্জিন ওয়েল বদলে ফেলি। শহরের ভীরের রাস্তায় বাইকটি চানানোর সময় আমি সতর্ক থাকি। এছাড়া বাইকটি চালানোর আগে এর ব্রেক , চেন , ব্যাটারির অবস্থা চেক করে নেই দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ।
ব্রেকিং ও সাসপেনশন
নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম আর সাস্পেশান দুটি গুরুত্তপূর্ন দিক। আর এই দুটি দিকই আমার এই বাইকে আধুনিক আর খুবই কার্যকরি। বাইকটির সামনে ও পেছনে দুটিই ডিস্ক ব্রেক। যেকোন পরিস্থিতে বাইক সামলে নেয়ার জন্য যা খুবই কার্যকর। আর বাইকটির সাস্পেনশান হোল Mono Shock absorber আধুনিক প্রযুক্তির এই সাস্পেনশান নিয়ে আমি বেজাই খুশী। মোট কথায় বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম আর সাস্পেনশান মসৃণ ও অমসৃণ উভয় রাস্তাতেই কার্যকরি ও আরামদায়ক।
মাত্র দুইবার বাইকটি সার্ভিসিং করিয়েছি , কিন্তু এর ইঞ্জিন এখনো ইন্ট্যাক্ট আছে। বাইকটি আমাকে পরিপূর্ণভাবেই সন্তুষ্ট করেছে এবং আমার বিশ্বাস বাইকটি চালানোর পরে যেকেউই আমার সাথে একমত হবেন ।