2016-07-19
Yamaha R15 motorcycle ownership review by Arafat
ব্যবহার বান্ধব, সহজলভ্যতা, আরাম এবং স্টাইলের কারনে যে কোন বয়সের লোকই মোটরসাইকেল পছন্দ করে থাকেন। আমি তাদের মধ্যেই একজন যারা মোটরসাইকেল ভালবাসেন। আমার নিজস্ব বাহন হিসেবে আমি মোটরসাইকেলকেই পছন্দ করি এবং প্রায় সকল ধরনের বাইক চালানোর অভিজ্ঞতাই আমার হয়েছে।
বিগত দেড় বছর ধরে আমি ব্যবহার করছি ইয়ামাহা আর১৫। জাপানিজ ব্রান্ড হিসেবে এবং বাইকটি ব্যবহার করে আমি খুবই সন্তুষ্ট। যখন আমি প্রথম বাইকটি দেখি তখনই ভালো লেগে যায় এবং সিদ্ধান্ত নেই আমি সুযোগ পেলে এই বাইকটি কিনবো। গত বছরে আমি বাইকটি কেনার সুযোগ পাই এবং কিনে ফেলি।আজ আপনাদের সাথে আমার বাইক ব্যবহারের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।
কেন আমি এই মডেলটি কিনলাম?
এই বাইকটি দেখেই এর প্রেমে পড়ে যাই এবং ফীচারগুলো আমার খুবই ভালো লেগে যায়। তাই সিদ্ধান্ত কিনতে হলে এই মডেলটিই কিনবো। এবং সুযোগ পেয়ে আর আমি সুযোগটি হাতছাড়া করিনি।
ভ্রমনের অভিজ্ঞতা
ইয়ামাহা আর১৫ মডেলটি মুলত স্পোর্টস ক্যাটেগরীর বাইক। আর তাই স্বল্প পথ অল্প সময়ে পাড়ি দিতে এর জুড়ি নেই। আমার অল্প রাস্তা পাড়ি দেবার অভিজ্ঞতা খুবই সন্তোষজনক। কিন্তু দীর্ঘ গথ পাড়ি দিতে কিছুটা কষ্টকর বৈকি। আমি প্রায় ২২০ কিমি ভ্রমন করেছি এবং এর স্পোর্টসি সিটিং পজিশনের কারনে ভ্রমনটি এক সময় কষ্টকর মনে হয়েছে।
কন্ট্রোল
কন্ট্রোল বিষয়ে এই বাইকের কোনো প্রকার নেগেটিভ কিছু আমার মনে হয় নাই। যে কোনো রাস্তায় যে কোনো মুহুর্তে বাইককে নিয়ন্ত্রন করা যায় খুবি্ সহজে। ব্রেক, টায়ার, সাসপেনশন গুলো এতোটাই চমতকার যে বাইকের উপরে আপনার নিয়ন্ত্রন থাকে স্মুথ।
মাইলেজ এবং স্পীড
নি:সন্দেহে এই বাইকের স্পীড যে কাউকেই সন্তুষ্ট করবে। আমি একাধিকবার ১২০কিমি/ঘন্টা ক্রস করেছি এবং কখনই মনে হয় নাই ইনজিনের উপরে চাপ পড়ছে। যেহেতু এটি স্পোর্টস ক্যাটেগরীর বাইক তাই তেল সাশ্রয়ী হবে না এটি আমি মেনে নিয়েছি। এর পরেও লিটারে প্রায় ৩৫কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে বাইকটি। যা অবশ্যই সন্তোষজনক।
বাইকের যত্ন
যন্ত্রের জিনিস যত্নেই টেকে। আর তাই আমিও চেষ্টা করি যত্ন নিতে। প্রতি ১০০০কিমি পর পর ইনজিন অয়েল চেন্জ করি। মাঝে মাঝেই অন্যান্য যন্ত্রাংশ গুলোও ট্রেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্সা করাই। চালানোতেও সতর্ক থাকি যেনো ইনজিনের উপরে অপ্রয়োজনীয় চাপ না পড়ে।
বাইকের ভালো দিক
- অসাধারন কন্ট্রোল
- চওড়া টায়ার
- রেডি পিকআপ
- শক্তিশালী ইনজিন
- দেড় বছরেও নতুনের মতো পারফরমেন্স
খারাপ দিক
- চেইন দ্রুত লুজ হয়ে যায়
- একজন মাত্র পিলিয়ন নেয়া যায়
- লং জার্নির জন্য আরামদায়ক নয়
কিছু কথা
আমার দৃষ্টিতে বাইকটি স্টাইল এবং পারফরমেন্সে অসাধারন। যেহেতু জাপানি ব্রান্ড এবং বিশ্ব ব্যাপী সুনাম রয়েছে তাই কোন প্রকার সন্দেহ ছাড়াই এর উপরে আস্থা রাখা যায়। যাদের এই বাইকটি কেনার ইচ্ছে আছে তারা নিশ্চিন্তে কিনে ফেলতে পারেন। অনেকেই বলেন এই বাইকটি ব্যাবহার ব্যয়বহুল। আমি বলবো আপনি কিছুদিন ব্যবহার করলেই বুঝবেন এর পারফরমেনসের কাছে খরচটি তেমন কিছুই মনে হবে না।
এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। অন্যের কাছে ভিন্নমত হতেই পারে।
নিজের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থেই হেলমেট ব্যবহার করুন।
বিগত দেড় বছর ধরে আমি ব্যবহার করছি ইয়ামাহা আর১৫। জাপানিজ ব্রান্ড হিসেবে এবং বাইকটি ব্যবহার করে আমি খুবই সন্তুষ্ট। যখন আমি প্রথম বাইকটি দেখি তখনই ভালো লেগে যায় এবং সিদ্ধান্ত নেই আমি সুযোগ পেলে এই বাইকটি কিনবো। গত বছরে আমি বাইকটি কেনার সুযোগ পাই এবং কিনে ফেলি।আজ আপনাদের সাথে আমার বাইক ব্যবহারের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।
কেন আমি এই মডেলটি কিনলাম?
এই বাইকটি দেখেই এর প্রেমে পড়ে যাই এবং ফীচারগুলো আমার খুবই ভালো লেগে যায়। তাই সিদ্ধান্ত কিনতে হলে এই মডেলটিই কিনবো। এবং সুযোগ পেয়ে আর আমি সুযোগটি হাতছাড়া করিনি।
ভ্রমনের অভিজ্ঞতা
ইয়ামাহা আর১৫ মডেলটি মুলত স্পোর্টস ক্যাটেগরীর বাইক। আর তাই স্বল্প পথ অল্প সময়ে পাড়ি দিতে এর জুড়ি নেই। আমার অল্প রাস্তা পাড়ি দেবার অভিজ্ঞতা খুবই সন্তোষজনক। কিন্তু দীর্ঘ গথ পাড়ি দিতে কিছুটা কষ্টকর বৈকি। আমি প্রায় ২২০ কিমি ভ্রমন করেছি এবং এর স্পোর্টসি সিটিং পজিশনের কারনে ভ্রমনটি এক সময় কষ্টকর মনে হয়েছে।
কন্ট্রোল
কন্ট্রোল বিষয়ে এই বাইকের কোনো প্রকার নেগেটিভ কিছু আমার মনে হয় নাই। যে কোনো রাস্তায় যে কোনো মুহুর্তে বাইককে নিয়ন্ত্রন করা যায় খুবি্ সহজে। ব্রেক, টায়ার, সাসপেনশন গুলো এতোটাই চমতকার যে বাইকের উপরে আপনার নিয়ন্ত্রন থাকে স্মুথ।
মাইলেজ এবং স্পীড
নি:সন্দেহে এই বাইকের স্পীড যে কাউকেই সন্তুষ্ট করবে। আমি একাধিকবার ১২০কিমি/ঘন্টা ক্রস করেছি এবং কখনই মনে হয় নাই ইনজিনের উপরে চাপ পড়ছে। যেহেতু এটি স্পোর্টস ক্যাটেগরীর বাইক তাই তেল সাশ্রয়ী হবে না এটি আমি মেনে নিয়েছি। এর পরেও লিটারে প্রায় ৩৫কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে বাইকটি। যা অবশ্যই সন্তোষজনক।
বাইকের যত্ন
যন্ত্রের জিনিস যত্নেই টেকে। আর তাই আমিও চেষ্টা করি যত্ন নিতে। প্রতি ১০০০কিমি পর পর ইনজিন অয়েল চেন্জ করি। মাঝে মাঝেই অন্যান্য যন্ত্রাংশ গুলোও ট্রেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্সা করাই। চালানোতেও সতর্ক থাকি যেনো ইনজিনের উপরে অপ্রয়োজনীয় চাপ না পড়ে।
বাইকের ভালো দিক
- অসাধারন কন্ট্রোল
- চওড়া টায়ার
- রেডি পিকআপ
- শক্তিশালী ইনজিন
- দেড় বছরেও নতুনের মতো পারফরমেন্স
খারাপ দিক
- চেইন দ্রুত লুজ হয়ে যায়
- একজন মাত্র পিলিয়ন নেয়া যায়
- লং জার্নির জন্য আরামদায়ক নয়
কিছু কথা
আমার দৃষ্টিতে বাইকটি স্টাইল এবং পারফরমেন্সে অসাধারন। যেহেতু জাপানি ব্রান্ড এবং বিশ্ব ব্যাপী সুনাম রয়েছে তাই কোন প্রকার সন্দেহ ছাড়াই এর উপরে আস্থা রাখা যায়। যাদের এই বাইকটি কেনার ইচ্ছে আছে তারা নিশ্চিন্তে কিনে ফেলতে পারেন। অনেকেই বলেন এই বাইকটি ব্যাবহার ব্যয়বহুল। আমি বলবো আপনি কিছুদিন ব্যবহার করলেই বুঝবেন এর পারফরমেনসের কাছে খরচটি তেমন কিছুই মনে হবে না।
এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। অন্যের কাছে ভিন্নমত হতেই পারে।
নিজের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থেই হেলমেট ব্যবহার করুন।