2016-06-20
Yamaha R15 V2 Black motorbike review by Rad Bin Alam
মোটরসাইকেলের প্রতি আমার আগ্রহ যেনো আজন্মের। বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই আব্বাকে মোটরসাইকেল চালাতে দেখতাম। আব্বার কাছে যারা আসতেন তাদের অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে আসতেন, রাস্তাঘাটে মানুষজনকে বাইক চালাতে দেখতাম আর ভাবতাম কবে আমার নিজের একটা বাইক হবে। মোটরসাইকেলের প্রতি আমার এই আসক্তির কারণে মাত্র ১১ বছর বয়সেই আমি আমার কাজিনের কাছে থেকে বাইক চালানো শিখে ফেলি। এর পরে আমাকে আর পায় কে, সুযোগ পেলেই আব্বার বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম। ইন্টারমিডিয়েট পাস করার আগেই বিভিন্ন মডেলের অনেকগুলি বাইক চালানোর সুযোগ আমার হয়, এমন কি আমার নিজেরেও একটা বাইক ছিল। তবে আমার বহু আকাঙ্কখিত Yamaha R15 V2 এর আবদার আব্বার কাছে করি ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পরেই, আর আব্বা রাজি হয়ে যান। আমার স্বপ্নের বাইক। বাইকটির প্রতি আমার আসক্তিই বলেন, আবেগ বলেন বা ভালোবাসা আমি একই মডেলের দুই কালারের দুইটি বাইক কিনে ফেলি । আজ আমি আমার Version 2 Black. নিয়ে বলবো।
বাইকটির প্রতি আমার এই আকর্ষনের অনেকগুলি কারণ আছে। বিশেষত এর অত্যান্ত স্টাইলিশ চেহারা ও স্পোর্টি আউটলুক অন্যতম। এর পাশাপাশি গ্রাফিক্যাল কালার মিক্সচার এবং এরো ডাইনামিক ডিজাইন আমাকে মুগ্ধ করে। এর বাইরে বাইকটি অত্যান্ত মজবুত এবং এর পার্টসগুলি টেক্সই হবার কারণে অনেকদিন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই আমি বাইকটি কেনার সিধান্ত নিয়েছিলাম। এক বছর হতে চলল বাইকটি চালাচ্ছি। বাইকটি চালিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আপনাদের জানাবো।
রাইডিং কন্ট্রোল
বাইকটির কন্ট্রোল যেহেতু অসাধারণ তাই বাইকটির চালানোর অভিজ্ঞতাও আমার কাছে অসাধারণ। আসলে ভালো কন্ট্রোল যদি আপনি না পান তবে বাইক চালিয়ে আপনি কখনই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। বাইকটি চালিয়ে আমার অনেক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আছে, বিশেষত যেহেতু বাইকটি আমি শহরের মধ্যেই বেশি চালাই আর স্পোর্টস বাইক নিয়ে শহরের রাস্তায় চলতে গিয়ে এর কন্ট্রোল মাঝে মধ্যেই আমাকে অভিভুত করে দেয়। বাইকটি নিয়ে কয়েকবার আমি লং ড্রাইভে গিয়েছি এই সময়ে আমি কখনই বাইক নিয়ে কোন ঝামেলায় পড়িনি। আমি একবার ২০০ কিমি রান করেছিলাম বাইকটি নিয়ে। এই লং জার্নিতে কম্ফোর্ট, মাইলেজ , স্পীড এই তিনটি বিষয়ই আমাকে সন্তুষ্ট করেছিলো । বাইকটি যেহেতু স্পোর্টি বাইক তাই সিট ও হ্যান্ডেলের অবস্থানগত কারণে পিঠে কখনো কখনো ব্যাথা অনুভব করি । এই বিষিয়টি বাদ দিলে আমার ধারণা বাইকটি নিয়ে কাররই কোন অভিযোগ থাকার কথা না।
ইনজিন
R15 এর দুইটি মডেল আমি ব্যবহার করি। প্রথমটি কেনা প্রায় দুই বছর হতে চলল। পরেরটি একবছর ধরে চালাচ্ছি। দুই বছর পার হলেও প্রথম বাইকটি আমি এখনো সার্ভিসিং করাইনি। আর দ্বিতীয় বাইকের ইঞ্জিন পারফর্মেন্স নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নাই। বাইকটির ইঞ্জিন ১৫০ সিসির Single cylinder , Liquid-cooled, 4-stroke, SOHC, 4-valve. ইঞ্জিন এর ম্যাক্স পাওয়ার 17 PS @ 8500 rpm এবং টর্ক 15 N m @ 6500 rpm । এই শক্তিশালী ইঞ্জিনের পার্ফরমেন্স আপনাকে অভিযোগের কোন সুযোগ দিবে না। এক বছর হতে চলল বাইকটির ইঞ্জিন আমাকে ক্ষনিকের জন্যও বিব্রত করেনি। বাইকের ইঞ্জিন সাউন্ড প্রথম দিন যা ছিল আজ তাই আছে আর বাইক সার্ভেসিং করার প্রয়োজনীয়তা কখনো অনুভব করিনি।
স্পীড ও মাইলেজ
আমরা সবাই জানি স্পোর্টস ক্যাটাগরির বাইকের ক্ষেত্রে প্রথমে যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হলো এর টপ স্পীড আর দ্বিতিয়টি হোল এর মাইলেজ। বাইকের দুইটি দিক নিয়েই আমি খুশি। আমার মতে টপ স্পীড এ এই বাইকটি সেরা । আমি একবার ১৩০ কিমি/ ঘন্টা গতিতে বাইকটি চালিয়েছিলাম এবং সেই সময় আমি কোন ডিস্কম্ফোর্ট ফিল করিনি। আমি সবসমই ৩০ কিমি/লিটার মাইলেজ পেয়ে থাকি, এবং আমার মতে স্পোর্টস বাইক হিসাবে তা যথেষ্ট ভালো।
যত্ন
ভালো পার্ফরমেন্স এবং দীর্ঘ স্থায়িত্বের জন্য আমি আমার বাইকের যত্নের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখি। মাসে দুইবার বাইক ধুয়ে মুছে শাইনিং ক্রিম দিয়ে পলিশ করি। প্রতি ১০০০ কিমি চালিয়ে ইঙ্গিন ওয়েল বদলে ফেলি। শহরের ভিড়ের রাস্তায় বাইক চালানোর সময় সতর্ক থাকি । এর পাশাপাশি বাইক চালানোর আগে এর খুটিনাটি বিভিন্ন পার্টস ঠিক মত কাজ করছে কিনা তা দেখে নেই।
ভালো দিক
- ০-৬০ কিমি স্পীড ৭/৮ সেকেন্ডই তুলে ফেলা যায়
- দীর্ঘস্থায়ি ও টেকসই যন্ত্রাংশ
- খুবই স্টাইলিশ লুক এবং মনমুগ্ধকর কালার
মন্দ দিক
- সিটিং পজিশান আরও ভালো হতে পারতো
- একজনের বেশী পেছনে নেয়া যায় না
এক বছর ধরে বাইকটি চালাই নিঃসন্দেহে বলতে পারি স্পোর্টস বাইক পছন্দ করেন এমন যে কেউ বাইকটি দেখে যেমন মুগ্ধ হবেন চালিয়েও সন্তুষ্ট হবেন।
বাইকটির প্রতি আমার এই আকর্ষনের অনেকগুলি কারণ আছে। বিশেষত এর অত্যান্ত স্টাইলিশ চেহারা ও স্পোর্টি আউটলুক অন্যতম। এর পাশাপাশি গ্রাফিক্যাল কালার মিক্সচার এবং এরো ডাইনামিক ডিজাইন আমাকে মুগ্ধ করে। এর বাইরে বাইকটি অত্যান্ত মজবুত এবং এর পার্টসগুলি টেক্সই হবার কারণে অনেকদিন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই আমি বাইকটি কেনার সিধান্ত নিয়েছিলাম। এক বছর হতে চলল বাইকটি চালাচ্ছি। বাইকটি চালিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আপনাদের জানাবো।
রাইডিং কন্ট্রোল
বাইকটির কন্ট্রোল যেহেতু অসাধারণ তাই বাইকটির চালানোর অভিজ্ঞতাও আমার কাছে অসাধারণ। আসলে ভালো কন্ট্রোল যদি আপনি না পান তবে বাইক চালিয়ে আপনি কখনই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। বাইকটি চালিয়ে আমার অনেক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আছে, বিশেষত যেহেতু বাইকটি আমি শহরের মধ্যেই বেশি চালাই আর স্পোর্টস বাইক নিয়ে শহরের রাস্তায় চলতে গিয়ে এর কন্ট্রোল মাঝে মধ্যেই আমাকে অভিভুত করে দেয়। বাইকটি নিয়ে কয়েকবার আমি লং ড্রাইভে গিয়েছি এই সময়ে আমি কখনই বাইক নিয়ে কোন ঝামেলায় পড়িনি। আমি একবার ২০০ কিমি রান করেছিলাম বাইকটি নিয়ে। এই লং জার্নিতে কম্ফোর্ট, মাইলেজ , স্পীড এই তিনটি বিষয়ই আমাকে সন্তুষ্ট করেছিলো । বাইকটি যেহেতু স্পোর্টি বাইক তাই সিট ও হ্যান্ডেলের অবস্থানগত কারণে পিঠে কখনো কখনো ব্যাথা অনুভব করি । এই বিষিয়টি বাদ দিলে আমার ধারণা বাইকটি নিয়ে কাররই কোন অভিযোগ থাকার কথা না।
ইনজিন
R15 এর দুইটি মডেল আমি ব্যবহার করি। প্রথমটি কেনা প্রায় দুই বছর হতে চলল। পরেরটি একবছর ধরে চালাচ্ছি। দুই বছর পার হলেও প্রথম বাইকটি আমি এখনো সার্ভিসিং করাইনি। আর দ্বিতীয় বাইকের ইঞ্জিন পারফর্মেন্স নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নাই। বাইকটির ইঞ্জিন ১৫০ সিসির Single cylinder , Liquid-cooled, 4-stroke, SOHC, 4-valve. ইঞ্জিন এর ম্যাক্স পাওয়ার 17 PS @ 8500 rpm এবং টর্ক 15 N m @ 6500 rpm । এই শক্তিশালী ইঞ্জিনের পার্ফরমেন্স আপনাকে অভিযোগের কোন সুযোগ দিবে না। এক বছর হতে চলল বাইকটির ইঞ্জিন আমাকে ক্ষনিকের জন্যও বিব্রত করেনি। বাইকের ইঞ্জিন সাউন্ড প্রথম দিন যা ছিল আজ তাই আছে আর বাইক সার্ভেসিং করার প্রয়োজনীয়তা কখনো অনুভব করিনি।
স্পীড ও মাইলেজ
আমরা সবাই জানি স্পোর্টস ক্যাটাগরির বাইকের ক্ষেত্রে প্রথমে যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হলো এর টপ স্পীড আর দ্বিতিয়টি হোল এর মাইলেজ। বাইকের দুইটি দিক নিয়েই আমি খুশি। আমার মতে টপ স্পীড এ এই বাইকটি সেরা । আমি একবার ১৩০ কিমি/ ঘন্টা গতিতে বাইকটি চালিয়েছিলাম এবং সেই সময় আমি কোন ডিস্কম্ফোর্ট ফিল করিনি। আমি সবসমই ৩০ কিমি/লিটার মাইলেজ পেয়ে থাকি, এবং আমার মতে স্পোর্টস বাইক হিসাবে তা যথেষ্ট ভালো।
যত্ন
ভালো পার্ফরমেন্স এবং দীর্ঘ স্থায়িত্বের জন্য আমি আমার বাইকের যত্নের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখি। মাসে দুইবার বাইক ধুয়ে মুছে শাইনিং ক্রিম দিয়ে পলিশ করি। প্রতি ১০০০ কিমি চালিয়ে ইঙ্গিন ওয়েল বদলে ফেলি। শহরের ভিড়ের রাস্তায় বাইক চালানোর সময় সতর্ক থাকি । এর পাশাপাশি বাইক চালানোর আগে এর খুটিনাটি বিভিন্ন পার্টস ঠিক মত কাজ করছে কিনা তা দেখে নেই।
ভালো দিক
- ০-৬০ কিমি স্পীড ৭/৮ সেকেন্ডই তুলে ফেলা যায়
- দীর্ঘস্থায়ি ও টেকসই যন্ত্রাংশ
- খুবই স্টাইলিশ লুক এবং মনমুগ্ধকর কালার
মন্দ দিক
- সিটিং পজিশান আরও ভালো হতে পারতো
- একজনের বেশী পেছনে নেয়া যায় না
এক বছর ধরে বাইকটি চালাই নিঃসন্দেহে বলতে পারি স্পোর্টস বাইক পছন্দ করেন এমন যে কেউ বাইকটি দেখে যেমন মুগ্ধ হবেন চালিয়েও সন্তুষ্ট হবেন।