Yamaha R15 V2 user review by Rad Bin Alam
পৃথিবীখ্যাত জাপানিজ ব্রান্ড ইয়ামাহা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। তাদের কোয়ালিটি, টেকসই, ডিজাইন, গতি ও শক্তি সকল দিক দিয়েই তারা তাদের মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। আমাদের দেশেও তরুন প্রজন্মের কাছে ইয়ামাহা আর১৫ ভার্সন২ বাইকটি অনেক কাংখিত এবং প্রিয়।
গতি ও কন্ট্রোল
এক কথায় গতির দানব। আমার চালানো বাইক গুলোর মধ্যে নি:সন্দেহে সেরা বাইক। এর গতি নিয়ে তেমন বলার কিছু নাই, বাইকটি নিয়ে আমি ১৪১কিমি/ঘন্টা তুলেছি এবং নিশ্চিত অভিজ্ঞ বাইকারের হাতে পড়লে সংখ্যাটি আরো বেশি হবে। আর কন্ট্রোলের কথা বলতে হলে বলব এক কথায় অসাধারন। ১০০ থেকে ১২০ কিমি স্পীডেও কখনই মনে হয় বাইক নিয়ে কন্ট্রোলিং এ ঝামেলাতে পড়তে হবে। যে কোনো গতি এবং পরিস্থিতেই আসাধারন পারফরমেন্স দেয়।
পারফরমেনস
চমতকার, অসাধারন, অনবৈদ্য। শহরের মধ্যে কিংবা লং রাইডে কোন অবস্থাতেও বাইকটি আমাকে কষ্ট দেয়নি। একদিনে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী টুর দিয়েছি এবং দীর্ঘ পথে আমাকে তার পারফরমেন্স দিয়ে আমাকে মুগ্ধ করেছে।
জ্বালানী খরচ
স্পোর্টস বাইকে জ্বালানি খরচ নিয়ে কথা বলা উচিত নয়, কেননা স্পোর্টস বাইক চালাতে হলে জ্বালানি খরচ নিয়ে চিন্তা করলে চলে না। তবুও আমি একাধিকবার পরীক্ষা করে ৪০-৪৫কিমি/লিটার পেয়েছি।
যত্ন
বাইকটির যত্ন করি কিছুটা অনিয়মিতই। তবে ইনজিন ওয়েল পরিবর্তন করি প্রতি ১০০০কিমি পর পর। প্রথমে মবিল-১ ব্যবহার করতাম এখন করি Yamalube.
বাইকটির প্রায় সকলদিকই ভালো লাগে তবুও কিছু জিনিস আমার খারাপ লেগেছে, যেমন-
- পেছনে পিলিয়ন নিলে হাতে কিছুটা ব্যথা লাগে বলে মনে হয়।
- পেছনের জনের বসতে কষ্ট হয়, যদিও স্পোর্টস বাইক হিসেবে পেছনে কারো বসার কথা না।
- হেডলাইটের আলো কম মনে হয়েছে। বাইকটির গতির তুলনাতে আলো কম বিশেষ করে হাইওয়েতে বেশি স্পীডে বাইক চালাতে কিছু সমস্যা হয়।
সবশেষে
ইয়ামাহার মতো পৃথিবীখ্যাত ব্রান্ডের সমালোচনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় কিন্তু বাইকটি ব্যবহার করে আমার কাছে যেমন লেগেছে হুবহু সেভাবেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বাইকটি নিয়ে আমাকে মার্ক দিতে বললে আমি ১০ এ ৯ দিবো।