ইয়ামাহা আরওয়ানফাইভ ভার্সন ৩ বাইকটা কেনার শখ আমার অনেক আগে থেকেই ছিলো। আমি অনেক বাইক ব্যবহার করেছি এবং সেই সকল বাইকের মধ্যে ড্রিম বাইক হিসেবে ইয়ামাহা আরওয়ানফাইভ ভার্সন ৩ কে খুব পছন্দ করতাম এবং স্বপ্নের সেই বাইকটা আজ আমার হাতে। আমি নিউ রাজশাহী মটরস থেকে এই বাইকটা ক্রয় করি এবং ক্রয় করার পর এখন পর্যন্ত রাইড করেছি ৪৬০০ কিমি। আমি এই বাইকটা ব্যবহার করে কেমন ফিডব্যাক পাচ্ছি , এই বাইকটা আমাকে কেমন পারফরমেন্স দিচ্ছে সেই সকল বিষয় নিয়েই আমি আজ আপনাদের সাথে এই বাইকের ভালো মন্দ দিক স্বল্প আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
ভালো দিকের মধ্যে ইয়ামাহা আরওয়ানফাইভ ভার্সন ৩ থেকে যা যা অভিজ্ঞতা পেয়েছি
-বাইকের ডিজাইনটা আমাকে অনেক ভালো লাগে। এই প্রিমিয়াম ডিজাইনের জন্যই বাইকটা আমার কাছে এত প্রিয়।
-কন্ট্রোলিং অনেক ভালো অনুভব করি। সামনের পেছনের টায়ার, ব্রেকিং, সাসপেনশন সব মিলিয়ে অনেক ভালো কন্ট্রোল প্রদান করে।
-ইঞ্জিনের এক্সেলেরশন এবং শক্তি অনেক বেশি। আমি মুহূর্তের মধ্যেই অনেক বেশি স্পীড তুলতে পারি এই বাইক থেকে । এদিকে ভিভিএ প্রযুক্তির কারণে স্পীড অনেক বেশি পাওয়া যায়।
-বিল্ড কোয়ালিটি টাও আমার কাছে বেশ লেগেছে। বাইকের সব পার্টসের ফিনিশিং একদম নিখুঁতভাবে করা হয়েছে যা প্রিমিয়াম ভাব দেয়।
মন্দ দিকের মধ্যে আমি যা যা অনুভব করেছি
-আমি এই বাইকটা নিয়ে একটানা ১৩০ কিমি রাইড করি এবং এই রাইড করার অবস্থায় আমি কব্জিতে একটু ব্যাথা অনুভব করি। মুলত স্পোর্টস বাইকের যে হ্যান্ডেলবার সেরকম হ্যান্ডেরলবার দেওয়া হয়েছে বিধায় একটু হেলে রাইড করতে হয় এবং লং রাইডে সমস্যা হয়। আমি মনে করি যে হ্যান্ডলবারটা আরেকটু উঁচু করতে পারলে খুব সুবিধা হত।
এই বাইকের ইঞ্জিন থেকে আমি মাইলেজ পাচ্ছি শহরের মধ্যে ৪০ কিমি এবং হাইওয়েতে ৪২ কিমি প্রতি লিটার। আমার মতে বাইকের মাইলেজ ইঞ্জিন ক্ষমতা অনুযায়ী ঠিক আছে। এদিকে বাইক থেকে আমি এখন পর্যন্ত টপ স্পীড পেয়েছি ১২৯ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
বাইকটি ৪৬০০ কিমি রাইড করে আমি যে সকল অনুভুতি পেয়েছি সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। আমার রিভিউতে ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর যাদের যাদের এই বাইকটা পছন্দ আছে এবং কিনবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা অবশ্যই কিনতে পারেন।