
তরুণ ও আধুনিক যুগের বাইকারদের কাছে জনপ্রিয় একটি নাম হচ্ছে ইয়ামাহা। ভালো বাইক এবং সেরা ইঞ্জিন পারফরমেন্স নিশ্চিত করে বলে এই বাইকটির কদর সারা বিশ্বব্যাপী রয়েছে। ইয়ামাহা বাংলাদেশের বাজারে ১৪০ সেকশনের টায়ার সংযোজন করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ১৫০ সিসির বাইকেও মোটা চাকা ব্যবহার করা যায় এবং বাইকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। বাংলাদেশে পরিপ্রেক্ষিতে ইয়ামাহা বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং তাদের বাইকগুলো প্রতিটা অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। আমি মনে করি যে Y মানে ইয়ামাহা Y মানে ইয়াং। তরুনদের মাতিয়ে তোলার জন্য ইয়ামাহা স্পোর্টস লুক দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছিলো আরওয়ানফাইভ মডেল। সেই আরওয়ানফাইভ বাইকটি এখন লেটেস্ট মডেল হচ্ছে ইয়ামাহা আরওয়ানফাইভ ভার্সন ৩ মন্সটার এনার্জি। আর আমি ঠিক এই বাইকটি এখন ব্যবহার করছি। এই বাইকটি আমি এখন পর্যন্ত রাইড করেছি প্রায় ১৪০০০ কিলোমিটার। এই ১৪০০০ কিমি রাইডে আমি প্রথমে ব্রেক ইন পিরিয়ড মেনে বাইক রাইড করেছি তারপর থেকে এর ইঞ্জিন পারফরমেন্স এর যে দৌড় সেটা অনুভব করার জন্য হাই রেভ করে বাইক রাইড করি। এখনও আমি হাই রেভ করে এই বাইক রাইড করি এবং ইঞ্জিন থেকে ভালো সাপোর্ট পাই। আজ আমি শোনাবো আমার এই সুন্দর বাইক ইয়ামাহা আরওয়ানফাইভ ভার্সন ৩ মনস্টার এনার্জি বাইক নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা।
ইয়ামাহা রাইড করে আমি একটা বিষয় খুবই স্পট হয়েছি যে এই বাইকের ব্রেকিং অন্যান্য যে কোন বাইকের থেকে সেরা। শুধু এই বাইক না আমি যতগুলো ইয়ামাহা বাইক রাইড করেছি সবগুলোর ব্রেকিং আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ইয়ামাহা আরওয়ানফাইভ বাইকটি রাইড করে আমি যে ব্রেকিং পারফরমেন্স পেয়েছি তা আমাকে বড় বড় দুর্ঘটনা থেকে অনেক বাচিয়েছে।
শুধু ব্রেকিং না কন্ট্রোলিং এর দিক দিয়েও বাইকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । বাইকের ওজন ডিস্ট্রিবিউশন, ডাইমেনশন, চেসিস ভালো হওয়ার ফলে কন্ট্রোল করতে কোন অসুবিধা হয় না এবং নির্বিঘ্নে আমি যে কোন পরিস্থিতিতে খুব ভালোভাবে কন্ট্রোল করতে পারি।
ব্লু কোর এফ আই ইঞ্জিন বাইকটিকে করেছে অসাধারণ। ইঞ্জিন থেকে আমি খুব ভালো পারফরমেন্স পাই। ভিভিএ প্রযুক্তি থাকার ফলে ওভারটেকিং খুব ভালোভাবে করা যায় এবং বাইকের অনুভুতি অন্য রকম মনে হয়। ইঞ্জিন হাই রেভ করে রাইড করলে কোন ধরনের সমস্যা হয় না এবং ইঞ্জিন ওভার হিট হয় না কারণ এখানে ব্যবহার করা হয়েছে লিকুয়িড কুলিং সিস্টেম। সব মিলিয়ে আমি ইঞ্জিন পারফরমেন্স এর দিক দিয়ে হতাশ হওয়ার মত কোন কিছু পাইনি।
১৫০ সিসির হেভি ইঞ্জিন থেকে ৩০-৩৫ মাইলেজ পাওয়া অনেক বিশাল ব্যপার। আমি সর্বদা হাই রেভ দিয়ে বাইক রাইড করি বিধায় মাইলেজ কম পাচ্ছি তবে আমার হিসাবে মাইলেজ ঠিক মনে হয়েছে। আমি অন্যান্য গ্রাহকদের থেকে শুনেছি যারা ব্রেক ইন পিরিয়ড ভালোভাবে পার করে এসেছে তার ৪০ এর উপর মাইলেজ পাচ্ছে সাধারণভাবে রাইড করলে।
ইয়ামাহা অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টার থেকে সার্ভিস পেয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি মনে করি যে তারা এই সার্ভিস মান সারা দেশে সড়িয়ে দিলে আর কোন সমস্যা হবে না সার্ভিস নিয়ে। কারণ তাদের বাইকের প্রযুক্তি অন্যান্য যে কোন বাইকের থেকে আলাদা।
মন্দ বিষয় আমি এই ১৪০০০ কিমি রাইড করে যেগুলো পেয়েছি সেগুলো উল্লেখ করার মত না একটি যান্ত্রিক জিনিসের একটু আধটু ত্রুটি হবে এটাই স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে আমি এই বাইকটা ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট। সবাইকে সালাম জানিয়ে আমার অভিজ্ঞতা এখানেই শেষ করছি।