Yamaha R15 V3 বাইক টি প্রত্যেক রাইডার এর জন্য এক স্বপ্নের বাইক। আমার ক্ষেত্রেও এর কোন বাতিক্রম নয় । আমিও বাইক রাইড করতে অনেক পছন্দ করি আমারও অনেক পছন্দের বাইক ড্রিম বাইক এক কথায়। বাইক প্রত্যেকটি ছেলের জন্য আবেগ যা আমার কাছে অনেক বেশি ।বাইক নিয়ে কিছু তথ্য শেয়ার করবো বাইকের ভালো মন্দ দিক নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরবো এখন পর্যন্ত ২ বছরে আমি ৩২০০০ কিলোমিটার রাইড করেছি বাইক
বাইকের ভালো দিকঃ
* ইয়ামাহা বাইক ভালো লুকের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ।সামনের হেডল্যাম্প থেকে শুরু করে পেছনের টেল ল্যাম্প পর্যন্ত সব কিছু একদম নিখুঁতভাবে ডিজাইন করেছে ইয়ামাহা ।
*এদিকে এই বাইকের কালার কম্বিনেশনটাও অনেক সুন্দর। আমার বাইকটার রঙ ডার্ক নাইট যেটা আমার অনেক ভালো লাগে দেখতে।
*ভালো পারফরমেন্স এর পাশাপাশি ভালো মাইলেজ দিচ্ছে আমাকে যা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট সিটির মধ্যে ৪৫+ এবং হাইওয়ে তে ৫০+ কিলোমিটার মাইলেজ পাচ্ছি ।
*টপ স্পিড অর্থাৎ যা আমার কাছে রাইডার হিসেবে অনেক ভালো লাগে বাকি ভার্সন গুলতে সমস্যা হলেও হতে পারে কিন্ত আমার কাছে সব সময় টপ স্পীড দেই আমি সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি উঠিয়েছি ।
* এসিস্ট ক্লাচ স্লিপার সব মিলিয়ে ইঞ্জিন থেকে আমি খুব ভালো শক্তি ও এক্সেলেশন পাই।
বাইকের মন্দ দিকঃ
*বাইকের ভালো দিকের পাশাপাশি মন্দ দিক রয়েছে তবে আমার কাছে বাইকের যে বিষয় তা একটু খারাপ লেগেছে বাইকের সিটিং পজিশন ও হ্যান্ডেলবার।
*হ্যান্ডেলবারটা বেশ নিচু এবং সিটিং পজিশনের সাথে একটু হেলে রাইড করতে হয় যার ফলে কব্জিতে অনেক ব্যথা অনুভব করি।
*বিশেষ করে শহরের রাস্তায় আমি এটা বেশি অনুভব করি কারণ শহরের ট্র্যাফিকের মধ্যে চলাচল করতে গেলে কব্জি অনেক বেশি ব্যথা করে। যা আমার কাছে একটু বিরক্তিকর ও কষ্ট সাধ্য মনে হয়েছে ।
এই বাইকটা কিনতে চান তারা অবশ্যই এই বাইক কিনতে পারেন ।আশা করি আপনাদের কাছে আমার রিভিউ ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ সবাইকে।