বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড রয়েছে এবং ব্র্যান্ড ভেদে অনেক বাইক রয়েছে। আমার কাছে স্কুটার অনেক পছন্দের কারন এর দ্বারা আমি শহরের মধ্যে খুব ভালোভাবে চলাচল করতে পারি। আমার যে কোন স্থানে দ্রুত যাতায়াতের জন্য স্কুটার আমার কাছে ব্যবহার করা অনেক সহজ ও আরামপ্রদ। আমি যখন একটা স্কুটার কিনবো বলে সিদ্ধান্ত নিই তখন আমার চোখের সামনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অনেক স্কুটার আসে। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি যে স্কুটারটা পছন্দ হয়েছে সেটা হল ইয়ামাহা ব্রান্ডের রেজেডআর । বাজারে বিদ্যমান অন্যান্য ব্র্যান্ডের স্কুটারের থেকে আমার কাছে এই স্কুটার বেশি পছন্দ হয়েছে এবং এর ডিজাইনটা আকর্ষণীয়। অন্যদিকে ইয়ামাহা অনেক জনপ্রিয় এবং নামকরা একটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড তাই আমি এই ব্রান্ডের স্কুটার কেনার জন্য পদক্ষেপ নিই।
আজ থেকে প্রায় ৩ মাস আগে আমি নিউ রাজশাহী মোটরস থেকে এই স্কুটারটা ক্রয় করি এবং এই ৩ মাসে আমি রাইড করেছি মোট ২১০০ কিমি। শহরের মধ্যে বেশি রাইড করা হয় যার জন্য এত কম রাইড হয়েছে এবং আমরা জানি যে স্কুটার লং রাইডের জন্য না। সব মিলিয়ে আমি এখন পর্যন্ত এই স্কুটার থেকে খুব ভালো পারফরমেন্স পাচ্ছি এবং আরও কি কি পাচ্ছি সেগুলো নিচে তুলে ধরছি।
প্রথমত এই বাইকটা আমার নজর কেড়েছে ডিজাইনের দিক থেকে। এই বাইকের দিকে লক্ষ্য করলেই বুঝা যায় যে ইয়ামাহা তাদের এই বাইক খুব ভালো ভাবে ডিজাইন করেছে এবং ডিজাইনের দিক থেকে কোন কমতি রাখেনি। আমার কাছে এই সেগমেন্টের মধ্যে সেরা ডিজাইন স্কুটার মনে হয়েছে এই ইয়ামাহা রেজেডআর কে।
ইঞ্জিনের দিক থেকে আমার জানা মতে ইয়ামাহা তাদের যে কোন বাইকের ইঞ্জিন নিয়ে বা ইঞ্জিনের ফিচারস নিয়ে কোন আপোষ করে না। ঠিক আমিও সেটাই অনুভব করছি। আমার কাছে এই স্কুটারের ইঞ্জিন অনেক প্রিমিয়াম ও স্কুথ মনে হয়েছে। আমি যখন রাইড করি তখন এই ইঞ্জিনের স্মুথ পারফরমেন্স আমাকে মুগ্ধ করে । ইঞ্জিনের শক্তি ও এক্সেলেরেশন যথেষ্ট ভালো এবং এটা আমার জন্য চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী।
সিটিং পজিশন আমার কাছে অনেক আরামদায়ক মনে হয়েছে। আমি যখন এই স্কুটারটি নিয়ে বেশিক্ষণ ধরে রাইড করি তখন আমার কাছে ব্যাক পেইন বা অস্বস্তি কোন কিছু অনুভব হয় না। সিটিং পজিশন অনেক নরম এবং এটাতে ২ জন খুব আরামে বসে রাইড করা যায়। আমি শহরের মধ্যেই প্রায় ৬০ কিমি একদিনে রাইড করেছি এই স্কুটারটি নিয়ে। সেক্ষেত্রে আমার কাছে আরামদায়ক বলে মনে হয়েছে।
ইঞ্জিনের ভালো পারফরমেন্সের পাশাপাশি আমি এই স্কুটার থেকে খুব ভালো মাইলেজও পাচ্ছি। শহরের মধ্যে আমি মাইলেজ পাচ্ছি লিটারে ৪০ কিমি এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পাচ্ছি লিটারে ৪৫ কিমি। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এই স্কুটারের মাইলেজ অনেক ভালো।
বাইকের সাথে রয়েছে টিউবলেস টায়ার এবং উন্নত মানের ব্রেকিং সিস্টেম যা আমার চলার পথকে অনেক মসৃণ করেছে। আমি এই ব্রেকিং ও টায়ারের ফলে খুব ভালো কন্ট্রোল পাই। অন্যদিকে ব্রেকিং গুলো খুব ভালো কাজ করে এবং শহররে ভিড়ের মধ্যে ব্রেকিং রেসপন্স আমি খুব ভালো পেয়েছি। এই ভালো ব্রেকিং এর ফলে আমি যে কোন দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাই।
আমি এই বাইকটা ২১০০ কিমি রাইড করে এর কোন খারাপ দিক লক্ষ্য করিনি। এই বাইকের ছোট খাটো কিছু মন্দ বিষয় থাকে সেগুলো সারভিস সেন্টারে নিয়ে গেলে ঠিক হয়ে যায়। তাছাড়া এখন পর্যন্ত এই স্কুটার নিয়ে আমি বড় কোন ঝামেলার মধ্যে পরিনি এবং আশা করি পরবো না। আমি এই স্কুটার রাইড করে আমার রাইড ইনজয় করি এবং এটা রাইড করতে আমার খুব ভালো লাগে। ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের এই রেজেডআর স্কুটারটি অন্যান্য ব্র্যান্ডের থেকে আসোলেই একদম আলাদা।
আমি যে ভালো দিকগুলো উল্লেখ করেছি সেগুলো আমি নিজে রাইড করে পেয়েছি। আপনারা যারা এই স্কুটার রাইড করেন তারাও হয়তো এরকম অনুভুতি বা এর থেকেও ভালো অনুভুতি পাচ্ছেন। যারা এই স্কুটারটি কিনতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই কিনতে পারেন। ইয়ামাহা খুব ভালো মানের স্কুটার তৈরি করেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।