আমি রাকিবুল হাসান বর্তমানে ব্যবহার করছি ইয়ামাহা স্যালুটো ডিস্ক ১২৫ সিসির একটি বাইক। আমার কাছে ইয়ামাহা ব্র্যান্ড খুব বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় বলে মনে হয় কারণ তারা বাংলাদেশের মার্কেটে নিত্য নতুন ডিজাইনের,ফিচারসের বাইক নিয়ে আসে এবং গ্রাহকদের নতুন ধারণা যোগ করে। আমার অনেক আগে থেকেই ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের প্রতি একটু দুর্বলতা রয়েছে এবং আমি অনেক থেকেই দেখেছি যে ইয়ামাহা তাদের বাইকের কোয়ালিটি নিয়ে কোন আপোষ করে না। যখন সিদ্ধান্ত হল যে ইয়ামাহা স্যালুটো কিনবো তখন এই বাইকের ইউজারদের মতামত নিতে থাকি এবং মোটরসাইকেল ভ্যালী সহ বিভিন্ন ওয়েব সাইটে বাইকের ফিচারস ও অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে রিভিউ দেখতে থাকি। সব দিক থেকেই আমার কাছে এই বাইকটি অনেক ভালো লেগেছে বিধায় আমি ইয়ামাহা স্যালুটো বাইকটি কিনেছি । বাইকটি কিনে এখন পর্যন্ত রাইড করেছি ২০ হাজার কিলোমিটার । এই ২০ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে বাইকটি নিয়ে আমার ভালো মন্দ অভিজ্ঞতা হয়েছে সেগুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি এই রিভিউট আপনাদের উপকারে আসবে।
আমি এই বাইকটার ইঞ্জিন পারফরমেন্স ও মাইলেজ নিয়ে অনেক খুশি । ১২৫ সিসির এই বাইক থেকে আমি খুব ভালো ইঞ্জিন শক্তি পাই যা আমাকে হাইওয়েতে সুন্দরভাবে রাইড করতে সাহায্য করে অন্যদিকে ভালো শক্তি উৎপাদনের পাশাপাশি এই বাইকের মাইলেজও অনেক ভালো । শহরের মধ্যে আমি এখন লিটারে প্রায় ৬০ কিমি এবং হাইওয়েতে ৬৫ কিমি মাইলেজ পাচ্ছি।
ডিজাইনটা আমার কাছে মোটামুটি ভালো মনে হয়েছে। এই বাইকের ডিজাইন আরেকটু মাস্কুলার করলে আমার কাছে আরও ভালো লাগতে তবে কালার কম্বিনেশন ও গ্রাফিক্যাল ডিজাইন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
সিটিং পজিশন যথেষ্ট আরামদায়ক । আমি এই বাইক নিয়ে লং রাইড করেছি এবং আরাম কোন প্রকার ব্যাক পেইন বা সমস্যা হয়নি।
চেইনের একটু সমস্যা পাচ্ছি। বাইকের চেইনটা মনে হচ্ছে যে খুব দ্রুত লুজ হয়ে যাচ্ছে এবং চেইনটা আমার কাছে মজবুত বলে মনে হয়নি।
টায়ারের সাইজটা আরেকটু মোটা করলে বাইকের ব্যালেন্স ও ব্রেকিং আরও ভালো হত । তবে এই টায়ার নিয়েও আমি খুব ভালো ব্রেকিং ও ব্যাল্যান্স করতে পারি। ব্রেকিং সিস্টেম নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
ইয়ামাহা স্যালুটো বাইকটি কিনে আমি খুব খুশি এবং আমি মনে করি যে এই বাইকটা আমাকে আরও অনেক দিক সাপোর্ট দিবে। সবাইকের ধন্যবাদ।