
টিভিএস মেট্রো প্লাস ৩ বছর ব্যবহার করার পর আমি নতুন করে বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।কারণ টিভিএস মেট্রো প্লাস বাইকটা আমি পুরাতন কিনেছিলাম।যখন আমার কাছে বাইক কেনার বাজেট হল তখন আমি খুঁজতে থাকি নতুন বাইক কারণ পুরাতন বাইক ব্যবহার করেছি তাই ব্র্যান্ড নিউ বাইক কেনার ইচ্ছা জাগে।খুঁজতে খুঁজতে আমি পেলাম ইয়ামাহা স্যালুটো কে।কমিউটার বাইক আমার নিত্য দিনের কাজের জন্য দরকার কারণআমি দিনে গড়ে প্রায় ৬০কিমি রাইড করি।সেক্ষেত্র থেকে বিবেচনা করে ইয়ামাহা স্যালুটো চোখে ধরে এবং বাইকটার রিভিউ ইউটিউব সহ বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইটে দেখতে থাকি।রিভিউ দেখে আমার কাছে এই বাইকের পজিটিভ দিক বেশি এসেছে এবং আমি কিনে ফেলি ইয়ামাহা স্যালুটো।এই বাইকটা আমি রাইড করেছি ৪৫০০কিমি।এই রাইডে আমি বাইক থেকে যে ভালো মন্দ দিক পেয়েছি সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
ভালো অভিজ্ঞতার মধ্যে আমি পেয়েছি –
বাইকের মাইলেজ ।ইয়ামাহা স্যালূটো ১২৫ সিসির এই বাইক থেকে আমি মাইলেজ পাচ্ছি শহরের রাস্তায় লিটারে ৬০কিমি এর বেশি এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৬৫কিমি এর বেশি।আমার মতে১২৫সিসির বাইক হিসেবে ইয়ামাহা স্যালুটো অনেক ভালো মাইলেজ দিচ্ছে।
চালিয়ে অনেক আরাম অনুভব করি।আমি যখন বিভিন্ন রাস্তায় রাইড করি তখন এর সিটিং পজিশন ও হ্যান্ডেল বারের থেকে যথেষ্ট আরামদায়ক রাইডিং অনুভব করি।কোন ধরনের ব্যাক পেইন আমি পাইনি এবং খুব স্মূথ ভাবে আমি রাইড করতে পারি।
ডিজাইন তো অবশ্যই আমার কাছে ভালো লেগেছে।এর সাথে কালার কম্বিনেশন ও গ্রাফিক্স গুলো অনেক সুন্দর।১২৫সিসি হিসেবে ডিজাইনটা আমার চোখে ধরেছে।
ইঞ্জিনের পারফরমেন্স আমি খুব ভালো পেয়েছি।৪৫০০কিমি. রাইড করে ইঞ্জিন থেকে খারাপ কোন ফিডব্যাক পাইনি।ইয়ামাহার ইঞ্জিন আমরা সকলেই জানি যে খুব ভালো এবং তারা ইঞ্জিন খুব নিখুঁত ভাবে প্রস্তুত করে।
দেশব্যাপী ইয়ামাহার যে সার্ভিস সেন্টার বা আমার এলাকার যে সার্ভিস সেন্টার ও স্পেয়ার পার্টস এর রয়েছে সেখান থেকে আমি ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছি।অর্থাৎ ইয়ামাহা এর সার্ভিস ফিডব্যাক অনেক ভালো।আমি যে কোন দরকারী পার্টস অনায়াসেই পেয়ে যায়।
মন্দ দিকের মধ্যে আমি পেয়েছি
বাইকের পেছনের টায়ার এর বডি গঠন অনুযায়ী একটু চিকণ মনে হয়েছে।পেছনের টায়ার যদি আরেকটু মোটা করা যেত তাহলে আমার মনে হয় ভালো লাগত।
মিটার কনসোল ফুল এনালগ।আমি মনে করি এটা যদি দাম অনুযায়ী ফুল ডিজিটাল করা যেত তাহলে দেখতে আরও অনেক বেশি সুন্দর লাগত এবং ১২৫সিসির মধ্যে আরও সেরা একটা বাইকে পরিণত হত।
আমি এই বাইক নিয়ে একদিনে রাইড করেছি ২৫০কিমি।১২৫সিসির ইঞ্জিন থেকে এক দিনে২৫০কিমি রাইড করে ফিডব্যাক ভালো পেয়েছি।এ দিকে বাইকের ব্রেকিং, সাসপেনশন গুলো অনেক ভালো পারফরমেন্স সরবরাহ করে যার ফলে আমি যখন রাইড করি তখন খুব আরাম অনুভব করি বাইকটা রাইড করে।টপ স্পীড আমি তেমন বেশি উঠানোর চেষ্টা করিনি তবে একদিন লক্ষ্য করলাম যে বাইকের স্পীড৮৫কিমি প্রতি ঘন্টা এর বেশি ঊঠেছে এবং আমি এতেই সন্তুষ্ট।
আমি যখন নতুন কোন একটা বাইক কিনবো বলে ঠিক করি তখন দেখি সেই বাইকের ব্র্যান্ড, ডিজাইন, বাজেট।এই ৩টা বিষয় লক্ষ্য রেখে আমি বাইক ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিই।ইয়ামাহা নিঃসন্দেহে অনেক ভালোএকটি ব্র্যান্ড এবং এর স্যালুটো ১২৫সিসি বাইকটা ও চমৎকার।আমি ৪৫০০কিমি এখন পর্যন্ত রাইড করেছি।আশা করি এই বাইকটা আমাকে অনেক দিন সাপোর্ট দিবে এবং বাইকটা আমি আমার মনের মত করে ব্যবহার করতে পারবো।
আপনারা যারা ইয়ামাহা স্যালুটো বাইকটা কেনার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের বলব যে, আমি নিজেও আপনাদের মত এই বাইক নিয়ে অনেক রিসার্চ করেছি এবং ভালোদিক বেশি পেয়েছি।তাই আপনারাও নিঃসন্দেহে এই বাইকটা কিনতে পারেন।ধন্যবাদ সবাইকে এত সময় দিয়ে আমার রিভিউ পড়ার জন্য।সবাইকে সাবধানে বাইক রাইড করবেন।