আমার চাকুরি সাথে প্রতিদিনের নিত্যনৈমত্তিক কর্ম সময়মত সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একটি মোটরসাইকেল অনেকদিনের প্রয়োজন কিন্তু পছন্দ করতে গিয়ে আমি একটু আলাদাভাবে চিন্তা করায় সাধারন কিছু নিয়ে না ভেবে আমি কমিউটার সেগমেন্টের ইয়ামাহা স্যালুটো ১২৫সিসির বাইকটা পছন্দ করি আমার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যে। কারন হিসেবে আমি উল্লেখ করবো এই বাইকটা অন্যতম স্বনামধন্য জাপানীজ ব্রান্ড ইয়ামাহার বর্তমান সময়ের ১২৫সিসি সেগমেন্টের একমাত্র কমিউটার বাইক হলো ইয়ামাহা স্যালুটো। ব্রান্ড হিসেবে এই বাইকের কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন করার কোন সুযোগই নাই কারন বাংলাদেশের যে কয়েকটা ব্রান্ড সুদীর্ঘ কাল থেকে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে তার মধ্যে ইয়ামাহা অন্যতম। তাই আমি গত ১০ দিন আগে ইয়ামাহা স্যালুটো বাইকটা কিনেছি এবং এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার চালিয়েছি। যদিও একথা সত্য যে একটা বাইককে সঠিকভাবে বোঝার জন্যে এই দুরুত্বটা কোনভাবেই যথেস্ট না তারপরেও আমাআর দেখাআ আমার বাইকের সসবচেয়ে ভাল লাগা কয়েকটি দিক হলঃ
-এর কালার কম্বিনেশনটা অসাধারণ যা এই সেগমেন্টের অন্য কোন বাইকে সাধারনত দেখা যায় না আবার এই বাইকে যে বেসিক রংটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটাও সাধারন কোন রঙ বলে আমার মনে হয় না এই রংটা আমি ইয়ামাহার এই বাইক ছাড়া অন্যকোন বাইকে দেখিনি।
-ব্রান্ড এবং বাইকের কোয়ালিটি বিবেচনায় এর দাম আমার কাছে অনেকটাই সহনীয় বলে মনে হয়েছে যা এই সেগমেন্টের বাইক রাইডারের অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে
-এই বাইকের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যা যেকোন বয়সের রাইডারের সাথে বেশ ভাল্ভাবে মানিয়ে যায় এবং ডিজাইনে আধুনিক স্টাইলের সমন্বয় এটাকে অসাধারণ বানিয়েছে।
-১২৫সিসির একটা বাইক হিসেবে এর মাইলেজ রেঞ্জ এখন পর্যন্ত আমি অনেক ভাল পাচ্ছি যা আমাকে সামনের দিনগুলাতে আরও ভাল মাইলেজ পাওয়ার ব্যাপারে আমি অনেক আশাবাদী।
-ইঞ্জিন পারফরমেন্স এককথায় চমৎকার যা ঠিক ইয়ামাহার পন্য হিসসেবে যেমনটা হউয়ার কথা
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত খুজে পাওয়া খারাপ দিক নিয়ে বলতে গেলে আমি শুরুতেই বলতে চাই যে সরাসরি খারাপ বলার মত কোন দিক আমি এখনও পাইনি তবে আআমার মনে হয়েছে যে নিম্নের দুইটা অংশ আরও ভাল হতে পারতোঃ
-এর ডিআরএল লাইটিং সিস্টেম আমার কাছে ভাল লাগে নি কারন একে তো সবসময় এই লাইটটা জ্বলে থাকে তারপরে আবার এইটা অন অফ করার কোন সুইচ নাই
-আর আরেকটা ব্যাপার হল এড় ফূয়েল ট্যাংকারটা, যার দ্বারা এর মুল সৌন্দর্য ফুটে উঠলেও আমার মনে হয় ফুয়েল ট্যাংকারটা খুব বেশি মজবুত না যদিও আমি এটা নিয়ে কোন ধরনের দুর্ঘটনা বা এমন কিছু ফেস করিনি যা থেকে প্রকৃত কোয়ালিটি বুঝতে পারবো
অন্যদিকে মাইলেজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে আমি বর্তমানে যে মাইলেজ পাচ্ছি তা ১২৫সিসির একটা বাইক হিসেবে অন্যান্য যেকোন বাইকের থেকে ভাল পারফরমেন্স দিচ্ছে। আমি শহরের মধ্যে বাইকটা চালানোর সময় মাইলেজ পাচ্ছি ৫২ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে চালানোর সময় মাইলেজ পাচ্ছি ৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার।
এই সেগমেন্টের অন্য যেকোন বাইকের থেকে এর কন্ট্রোল আমার কাছে অনেক ভাল মনে হউএছে বিশেষত সামনের ডিস্ক ব্রেক থাকার কারনে। একইসাথে ইয়ামাহার প্রতিটা বাইকেরই বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য হলো অন্য ধরনের আরাম যেকোন পথে বা যেকোন দুরুত্বে এবং আরামের ব্যাপারটা আমার স্যালুটোতেও আমি ব্যাপকভাবে ফিল করি। আআমার বলতে ভাল লাগছে যে আমি আমার বাইকে তেমন কোন ধরনের গুরুতর সমস্যা এখনও খুজে পায় নি।