আমি মোকারম হোসেন আসিফ, পেশায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রশিক্ষক এবং পাশাপাশি একজন বাইকার হিসেবেও পরিচয় দিতে পছন্দ করি। ছোট বেলা থেকেই আমার মোটরসাইকেলের প্রতি অন্য ধরনের এক আগ্রহ ছিলো। বর্তমানে আমি ব্যবহার করছি ইয়ামাহা স্যালুটো ১২৫ সিসি ড্রাম ব্রেক বাইকটি। এই বাইকটি কেনার মূল কারণ হল প্রথমত শখ তারপর বিভিন্ন জায়গায় ছুটোছুটি করার জন্য বাইকটি কেনা হয়।আমি প্রায় ৩ মাস যাবত এই বাইকটি ব্যবহার করছি।আজ আমি আপনাদের সামনে এই বাইকটির ভালো মন্দ কিছু দিক শেয়ার করব। আশা করি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন।
আমি প্রথমেই বলেছি যে বাইকের প্রতি আমার নেশা ছোট বেলা থেকে এবং তখন থেকেই ভাবতাম যে কবে আমার একটা বাইক হবে। আমি এই বাইকটি কেনার পূর্বে বাজাজ ডিস্কোভার ১০০ সিসি, বাজাজ সিটি ১০০ সিসি এবং এপ্যাচি এই বাইক গুলো ব্যবহার করেছি।এই বাইকটি আমি দেখে বেশ মুগ্ধ হই এবং কেনার আগ্রহ প্রকাশ করি কেননা বাইকটি সব দিক দিয়েই আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি বলতে গেলে ১২৫ সিসি বাইকের তুলনায় যথেষ্ট ভাল মানের ডিজাইন রয়েছে। অন্যদিকে বাইকটির বিল্ড কোয়ালিটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে অন্যান্য ১২৫ সিসি বাইকগুলো বেশির ভাগই ডিজিটাল মিটারের কিন্তু এই বাইকটিতে কোন প্রকারের ডিজিটাল মিটার নেই যেটা আমার কাছে নেগেটিভ দিক বলে মনে হয়েছে।
আমি ৩ মাস ধরে এই বাইকটি রাইড করছি এবং ব্যবহার করে মনে হয়েছে যে এর যথেষ্ট ভালো সিটিং পজিশন রয়েছে এবং অন্যদিকে সিটিং পজিশনের সাথে মিলিয়ে হ্যান্ডেলবারটাও ধরে বেশ আরাম অনুভব করি। বাইকের সুইচগুলোর কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো। সব সুইচগুলো সুন্দর ভাবে কাজ করে এবং সেটা কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই। আমি বাইকটি নিয়ে রাতে রাইড করতে গিয়ে হেডল্যাম্পের আলোর স্বল্পতা পেয়েছি।
১২৫ সিসির বাইক হিসেবে যথেষ্ট ভালো কন্ট্রোলিং রয়েছে। আমি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই কন্ট্রোল করে নিতে সক্ষম হই। আমি আমার বাইকের টপ স্পীড তুলেছি ৯৫-১০০ এর মধ্যে আসলে তখন মিটারের দিকে তাকানোর মতো পরিস্থিতি ছিলো না।আমার বাইকের টায়ার এবং সাসপেনশন যথেষ্টভালো এই বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ব্রেকিং এই দিকটা আমার কাছে খুব সমস্যার সৃষ্টি করেছে। পেছনের ব্রেকটা মাঝে মাঝে লুজ হয়ে যায় এবং খুব তাড়াতাড়ি ক্ষয় হয়ে যায়।আরেকটি বিষয় সেটি হল এর সামনে পেছনে উভয় দিকে ড্রাম ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে যেটা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে আন-আপডেটেড মনে হয়েছে।এই ধরনের অন্যান্য ১২৫ সিসি বাইকগুলোতে বেশীর ভাগই ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
বাইকটির তেল খরচ আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে কোম্পানী যেটা বলে সেরকম মাইলেজ না পেলেও বর্তমানে আমি ৫৫ কিমি প্রতি লিটারে মাইলেজ পাচ্ছি।আশা করা যায় এটা আরও বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে সার্ভিসিং সেণ্টারের ব্যবহার এবং তাদের ঠিক করার দক্ষতা বেশ ভালোই মনে হয়েছে। আমি এই পর্যন্ত সার্ভিসিং সেন্টারের কোন ঘাটতি পায়নি।
সমস্ত কিছু বিবেচনা করে বলা যেতে পারে ১২৫ সিসি বাইক হিসেবে আমার বাইকটি বেশ ভালোই লেগেছে তবে কিছু কিছু ফিচার আধুনিক করলে আরও ভালো হতো।সবাই সাবধানে রাইড করবেন এবং হেলমেট পরে রাইড করবেন।