বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এবং স্বনামধন্য ব্র্যান্ড হিসেবে ইয়ামাহা নামটি সবার মুখে মুখে শোনা যায়। আমার কথা হল যে জিনিস যখন ব্যবহার করবো তখন ব্র্যান্ডেরর জিনিসই ব্যবহার করবো। আমার কাছে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডটি খুব ভালো লাগে এবং তাদের প্রত্যেকটি বাইকের অসাধারণ কিছু ডিজাইন রয়েছে। যার ফলে আমি অন্য কোনো দিকে না তাকিয়ে ইয়ামাহার মোটরসাইকেলকেই বেছে নিয়েছি।
আমি মোঃ শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস এবং আমি পেশায় একজন চাকুরীজীবী। বর্তমানে আমি ব্যবহার করছি ইয়ামাহা স্যালুটো ১২৫ সিসি। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য মূলত আমি এই বাইকটি কিনি। এছাড়াও বাইকটি কথা মানুষের মুখে শুনে আরও কেনার আগ্রহ জাগে। আমি এর আগে ব্যবহার করতাম হিরো স্পেন্ডর প্লাস এবং তারপর কিনি এই বাইকটি। যেহেতু আমি অনেক দিন ধরেই বাইক চালাই তাই আজ আমি আপনাদের সাথে আমার এই বাইকের কিছু ভালো মন্দ দিক তুলে ধরবো।
ডিজাইন আমার কাছে ভালো লেগেছে এবং পাশাপাশি এর বিল্ড কোয়ালিটি অনেক মজবুত। আমি মনে করি বাইকটির ডিজাইনটা আরেকটু উন্নত করা গেলে ১০০ সিসি থেকে আলাদা করা যেতো। বাইকটি দেখে অনেকেই বলে এটা ১০০ সিসির বাইক।
চালিয়ে আমি খুব বেশি আরাম পায়নি কারণ এর সিটিং পজিশনটা অনেক উঁচু যার ফলে ট্র্যাফিক জ্যামে পড়লে মাঝারি সাইজের চালকের একটু বেগ পেতে হয়। অন্যদিকে সিটিং পজিশনটা অনেক চওড়া মোটামুটি চওড়া হলে বসে আরাম পাওয়া যেত। হ্যান্ডেলবার ধরে আমি অনেক আরাম অনুভব করি এবং হ্যান্ডেলের সাথে সংযুক্ত সুইচগুলো আমার কাছে খুব ভালো মনে হয়েছে। আমি রাতে চালিয়ে এর হেডল্যাম্পের আলো যথেষ্ট ভালো পেয়েছি। আরামের দিক দিয়ে আমাকে এর সিটিং পজিশনটা সন্তুষ্ট করতে পারেনি। অচিরেই এটা আরও উন্নত করা দরকার।
শহরের মধ্যে বেশি থাকা হয় তাই আমি দেখেছি যে শহরের বিভিন্ন ধরনের রাস্তায় খুব ভালো ভাবে আমি বাইকটি কন্ট্রোল করে নিতে পারি। যেহেতু আমার বাইকটি নতুন তাই আমি আজ পর্যন্ত এর টপ স্পীড তুলেছি ৬৫ কিমি প্রতি ঘন্টায় এবং টপ স্পীডে বাইকটি ভাইব্রেশন দেয় না। ব্রেক সামনের পেছনের দুটাই ভালো লেগেছে। আমি জরুরি পরিস্থিতিতে ব্রেক করে খুব ভালো ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমার কাছে সামনের সাসপেনশটার পারফরমেন্স অনেক ভালো লেগেছে কিন্তু এর পেছনের সাসপেনশনটা অনেক শক্ত এবং ভালো পারফরমেন্স দেয় না। অপরদিকে আমি এর টায়ারের যথেষ্ট ভালো গ্রিপ পেয়েছি এবং কড়া ব্রেক করলে টায়ারটা স্কীড করে না।
তেল খরচ কোম্পানী যেভাবে বলেছে আমি বর্তমানে ঠিক সেভাবে পাচ্ছি। আমি লিটারে ৫৫ কিমি প্রতি লিটারে মাইলেজ পাচ্ছি। তেল খরচটা আরেকটু কমানো গেলে আমি মনে করি ভালো হত।
ইঞ্জিনের পারফরমেন্স খুব ভালো। আমি আগে থেকেই জানতাম যে ইয়ামাহা তাদের সকল বাইকের সাথে অনেক শক্তিশালী ইঞ্জিন সরবরাহ করে। ইঞ্জিনের পারফরমেন্সে কোনো কমতি নেই এবং একটানা অনেকক্ষণ চালানোর পরেও ইঞ্জিনের পারফরমেন্স অটুট থাকে।
সার্ভিসিং সেন্টারে আমি এখনও যাই নি তবে আমি শুনেছি তাদের ঠিক করার মান নাকি ভালো না এবং তাদের সকল ঠিক করার সামগ্রী নেই। যেহেতু নিজে যাইনি তাই মন্তব্য না করাই ভালো।
আমার বাইকের ভালো দিক
- এক্সেলেরেশন ভালো
- ব্রেকিং ভালো
- ইঞ্জিন পারফরমেন্স ভালো
খারাপ দিক
- মাইলেজ কম
- সিটে বসে আরাম পাই না
সমস্ত কিছু বিবেচনা করে এবং এর পারফরমেন্স এবং কোয়ালিটি বিবেচনা করে দামটা ঠিক বলে মনে হয়েছে এবং যদি কেউ এই বাইকটি কিনতে চায় তবে আমি বলবো যে আপনার যদি এই বাইকটি পছন্দ থাকে থাকলে চোখ বন্ধ করে কিনতে পারেন।