সময়ের সাথে মিলিয়ে চলতে হলেও এখন বাইক ছাড়া চলাটা কেমন যেন খাপ ছাড়া মনে হইয় নিজেকে কিন্তু আমি এখনও ছাত্র এবং বাবা বলে আমি নাকি বাইক চালানোর উপযুক্ত হয়নি। বলা বাহুল্য যে আমার বাবা আমাকে যখন যে কথা দিয়েছেন তা তিনি রেখেছেন এবঙ্গামার বাইকের আবদার নিয়েও তিনি আমাকে বলেছিলেন যে সময় হলে আমাকে কিনে দিবেন তাই এখানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আমার স্কুলের পড়াশোনা শেষ হউয়ার পর পরই আমার আব্বু তার কোম্পানী থেকে বিশেষ একটি অফার পান যা ছিল মুলত বাইক কেনার ব্যাপারে। সত্য বলতে কি, তিনি চাইলে সেটা এড়িয়ে যেতে পারতেন নগদ বিনিময় নিয়ে কিন্তু তিনি তা না করে আমাকে দেওয়া কথা রাখতে কোম্পানী থেকে অফারটি সেই অবস্থাতেই গ্রহন করেন।
গত প্রায় ৭ মাস যাবত আমি “ইয়ামাহা এসজেড-আরআর-ভার্শন ২” বাইকটা ব্যবহার করছি এবং এই সময়ের মধ্যে আমি প্রায় ২২০০০ কিলোমিটার চালিয়ে ফেলেছি। সত্য বলতে কি আমি একাই এই বাইকটা ব্যবহার করি না বরং আমার সাথে আমার পরিবারের কয়েকজন এবং আমার একজন বন্ধু যে খুব ভাল বাইক রাইড করে। আমার বলতে ভাল লাগছে যে আমিসহ যারা যারা এই বাইকটা ব্যবহার করে তারা সবাইই এর প্রশংসা করে। যেহেতু ব্রান্ডটা ইয়ামাহা, তাই প্রশংসিত হউয়াটা খুব স্বাভাবিক বলে আমি মনে করি। অন্যদিকে গেল ৭ মাসে আমার দেখা আমার বাইকের ভাল কিছু দিক হলঃ
অনেক আরামদায়ক একটি বাইক রাইডার এবং পিলিয়ন দুজনের জন্যেই। এমনকি অবৈধ হলেও আমরা অনেক সময় ৩ জন মিলেও রাইড করি সেক্ষেত্রেও খুব বেশি সমস্যা টের পায় না।
অনেক ভাল স্পীড তোলা যায় যা ভালমানের ইঞ্জিনের একটা পরিষ্কার ইংগিত।
একেবারে বাজে রাস্তা ছাড়া আমি বাইক চালানোর সময় রাস্তার অবস্থা টের পায় না সুতরাং সাসপেনশন গুলো অনেক ভাল।
এর মাইলেজটা খুব বেশি না হলেও যৌক্তিক বলে আমি মনে করি যা আমি পরে বিস্তারিত বলবো
কন্ট্রোলটা উল্লেখযোগ্য কারন যে কয় এখন পর্যন্ত বাইকটা ব্যবহার করেছে এখনও কেউ এর কন্ট্রোল নিয়ে কোন কথা বলে নি।
অন্যদিকে যেমনটা আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে গত প্রায় ৭ মাস যাবত আমি এই বাইকটা ব্যবহার করছি এবং প্রায় ২২,০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি তাই সময়ের ব্যবধানটা এই বাইককে বোঝার জন্যে যথেস্ট না হলেও চালানোর দুরুত্বটা অনেকখানিই যথেস্ট।
এখানে উল্লেখ করে বলার মত তেমন কোন খারাপ দিক আমি আমার বাইকে এখনও খুজে পায় নি তবে ৮০ বা ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতি তোলার পর আমাই ভাইব্রেশন অনুভব করি এবং তা এমন মাত্রায় যা মেনে নেওয়া যায়। অন্যদিকে এর দাম অনুযায়ী এর পারফরমান্স এবং ফিচার ঠিক থাকলেও আমি মনে করি এই বাইকটা আরও স্টাইলিশ হতে পারতো।
একই সাথে মাইলেজ নিয়ে কথা বলতে হলে প্রথমত আমাকে এটা মেনে নিতে হবে যে ব্রান্ডটা হলো ইয়ামাহা এবং এর ইঞ্জিন হলো ১৫০সিসি। বর্তমানে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার শহরের মধ্যে এবং ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার পাচ্ছি যখন আমি হাইওয়েতে বাইক চালাচ্ছি। আমি মনে করি এই মাইলেজ খুব ভাল না হলেও খুব খারাপ না একই সাথে আমি বিশ্বাস করি, সময় বাড়ার সাথে সাথে আমার বাইক মাইলেজও ভাল দিবে।
১৫০সিসির আরও অনেক নামকরা বাইক থাকতে ইয়ামাহা এসজেড আরআর ভি২ কেন কিনলাম? যেমনটা আপনি ওপরে খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন যে আমি আমার বাবাকে প্রায়শই চাআপের মধ্যে রাখতাম আমাকে বাইক কিনে দেওয়ার জন্যে আর এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে বাবা যখনই কোম্পানী বাইক কেনার অফার পায়, তিনি আর অন্য কোন দিক চিন্তা করে কোম্পানীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নেন তবে আমি বলবো তিনি কোনভাবেই ভুল করেন নি কারন এটা ইয়ামাহার বাইক এবং একটি ১৫০সিসির আধুনিক বাইকের সকল ফিচার এই বাইকে আছে যার দামটাও সাধ্যের মধ্যেই।
আমার বাইকের ইঞ্জিন পারফরমান্স অনেক ভাল। এখন পর্যন্ত আমি ১১৫ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি তুলেছি এবং এমন গতিতে আমি তেমন কোন সমস্যা অনুভব করিনি আমার এই বাইক কন্ট্রোল করার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত আমি কোন ধরনের এক্সিডেন্টও করিনি তারপরেও যতদুর বুঝতে তাতে আমার মনে হয় আমার বাইকের ওপরের প্লাস্টিকের অংশগুলা বেশ শক্তপোক্ত এবং মজবুত।