Is this review helpful?
This user provides ratings about this bike
This bike is purchased from Raju Motors, Pabna
প্রতিটা বাইকারের একটি স্বপ্নের বাইক থাকে যেমনটি আমারও আছে। স্বপ্নের বাইক নিয়ে রাইড করতে সবারই ভালো লাগে। আমার স্বপ্নের বাহন হচ্ছে Yamaha R15 V3। এই বাইকটি যখন প্রথম দেখেছিলাম তখন এর ডিজাইন ও অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। একটা সময় ভাবলাম যে বাইকটি আমি কিনবো এবং কেনার পর এই বাইক নিয়ে আমার যে শখগুলো রয়েছে সেগুলো পূরণ করব। সবকিছু মিলিয়ে আমি আজ থেকে প্রায় ১৩ মাস আগে এই বাইকটি ক্রয় করি এবং ক্রয় করার পর এখন পর্যন্ত মোট রাইড করেছি ৮০০০ কিমি।
কেন Yamaha R15 V3?
বাজারে এ সেগমেন্টে অন্যান্য ব্র্যান্ডের বাইক ছিল এবং সেই গুলোর থেকে আমার কাছে Yamaha R15 V3 বাইকটি বেশি ভালো লেগেছে কারণ বাইকের মধ্যে ইউনিক ডিজাইন, ভালো ইঞ্জিন পারফরম্যান্স, অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি সংযোজন করা আছে। যার ফলে আমি চিন্তা করলাম যে যদি এই বাইকটি ক্রয় করি তাহলে অনেক দিক থেকেই সুবিধা পাব। তাই অন্যান্য বাইক না কিনে আমি Yamaha R15 V3 বাইকটি নিঃসন্দেহে ক্রয় করে ফেলি। আজকে আমি আমার বাইক নিয়ে আপনাদের সাথে ভালো-মন্দ কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
Yamaha R15 V3 বাইকের ভালো দিক
Yamaha R15 V3 বাইকের ডিজাইন ও আউটলুকটা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এ বাইকের মধ্যে হাইসিসি বাইকের ডিজাইনের ধারণা রয়েছে এবং ডিজাইন দেখে আমার কাছে হাইসিসি বাইকের অনুভুতি আসে। অন্যদিকে বাইকের পূর্ণাঙ্গ যে গঠনটা করা হয়েছে সেটা অনেক সুন্দর এবং সামনে থেকে শুরু করে পেছনের অংশ পর্যন্ত নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। আমি এই বাইকের ডিজাইন ও আউটলুক নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। ইয়ামাহা ব্র্যান্ড দাম অনুযায়ী খুব ভালোমানের ডিজাইন দিয়েছে এই বাইকে।
ডিজাইনের পর আমার কাছে এই বাইকের ইঞ্জিন পারফরম্যান্সও অনেক ভালো লাগে। আমি বাইক নিয়ে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রাস্তায় রাইড করেছি এবং রাইড করে ইঞ্জিন থেকে খুব ভালো পারফরম্যান্স পেয়েছি। বিশেষ করে এই ইঞ্জিনে রয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি যার ফলে ইঞ্জিন থেকে খুব ভালো পারফরম্যান্স ও ফিডব্যাক পাওয়া যায়। ভিভিএ ফিচারসটি খুবই উপকারী বাইকের ইঞ্জিনের জন্য কারণ আমি যখন হাইস্পিডে বাইক রাইড করার চেষ্টা করি তখন ভিভিএ প্রযুক্তিটা স্পিড খুব তাড়াতাড়ি তুলতে সহায়তা করে। এদিকে স্লিপার ক্লাচের ফলে বাইকের গিয়ার শিফটিং নিয়ে আমি কোন জটিলতা বুঝতে পারি না। গিয়ার শিফটিং কতটুকু করতে হবে তা আমি এই স্লিপার ক্লাচের মাধ্যমে খুব সহজেই সমাধান করতে পারি। অন্যদিকে ভুল করে বেশি গিয়ার থেকে কম গিয়ারে নিয়ে আসার সময় অপ্রত্যাশিত কোন ঘটনা হয় না এই স্লিপারক্লাস প্রযুক্তির জন্য।
ব্রেকিং সিস্টেমে রয়েছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম। এই ডুয়াল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিংএর ফলে আমি ব্রেকিং রেসপন্স খুব ভালো পাই এবং আমি যে কোন কন্ডিশনে এই ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করে রাইড করতে পারি। বিশেষ করে এই এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম দরকার হয় বৃষ্টি ভেজা বা কাদাযুক্ত রাস্তা যেখানে সাধারণ ব্রেকিং সিস্টেম দিয়ে ব্রেক করা একটু মুশকিল কিন্তু এই এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম যে কোন রোড কন্ডিশন আমাকে খুব ভাল সাপোর্ট প্রদান করতে সক্ষম।
যেহেতু আপনারা উপরে দেখেছেন যে, ইঞ্জিন ফিচারসে ইয়ামাহা খুব ভালো ভালো অত্যাধুনিক সবপ্রযুক্তি ব্যবহার করেছে যার ফলে ইঞ্জিন পারফরম্যান্সের পাশাপাশি এর মাইলেজটাও অনেক বৃদ্ধি হয়েছে। ফুয়েল ইনজেকশনএর ফলে মাইলেজ আমি অনেক বেশি পাচ্ছি। বর্তমানে আমি এই প্রিমিয়াম বাইক থেকে শহরের মধ্যে মাইলেজ পাচ্ছি ৪০ কিমি প্রতিলিটার এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫ কিমি প্রতিলিটার। মাইলেজের দিক থেকেও আমি অনেক সন্তুষ্ট কারণ এত সুন্দর একটি বাইকের ইন্জিনটাও অনেক শক্তিশালী যার ফলে এর ভাল মাইলেজ আসলেই অভাবনীয়।
আমার কাছে এই বাইকটির শুধুমাত্র একটি বিষয় খারাপ লেগেছে তাহল বাইকের দাম অনুযায়ী বিল্ড কোয়ালিটি একটু দুর্বল মনে হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্টের বিল্ড কোয়ালিটি আমার মনে হয় আরো উন্নত করা উচিত। ফিচারসগত দিক থেকে দাম অনুযায়ী ঠিক মনে হলেও বিল্ড কোয়ালিটির দিক থেকে আমার কাছে দামটা একটু বেশি মনে হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভার্সনের বিল্ড কোয়ালিটি একটু খারাপ তবে সেগুলো ততটা খারাপ না সামান্য কিছু উন্নত করলেই আশা করা যায় বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
Yamaha R15 V3 বাইক নিয়ে আরও কিছু
আমি এই বাইক নিয়ে একদিনে একটানা ২০০ কিলোমিটার রাইড করেছি। এই রাইডে আমার কাছে কোন সমস্যায় মনে হয় নি। বিশেষ করে ইঞ্জিনের দিক থেকে আমি খুব ভালো সাপোর্ট পেয়েছি। শুরুতে যেমন পারফরম্যান্স দিচ্ছিল শেষ পর্যন্ত ইঞ্জিনের পারফরমেন্স সেই রকমই ছিল। এদিকে সিটিং পজিশন নিয়ে অনেকের সমস্যা হতে পারে এবং এটা আমারও শুরুতে হয়েছিল। যেহেতু স্পোর্টস বাইক তাই একটু সামনের দিকে হেলে রাইড করতে হয় তবে এই সমস্যাটা দূর হবে এক সপ্তাহ চালানোর পরে। আমি এ সমস্যাটা এখন আর অনুভব করি না। ইঞ্জিন থেকে আমি টপস্পীড পেয়েছি ১৩৬ কিমি প্রতিঘন্টা।
Yamaha R15 V3 নিঃসন্দেহে অনেক ভালো একটি বাইক। আপনারা যারা এই বাইকটি পছন্দ করেন বা নিতে চান তারা নিঃসন্দেহে কিনতে পারেন। আমি যে ভালমন্দ বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সেগুলো যাচাই করবেন এবং আপনার নিজেরও কিছু বিষয় যাচাই করে বাইকটি ক্রয় করবেন।
ধন্যবাদ ।
Is this review helpful?
বাংলাদেশে প্রিমিয়াম স্পোর্টস ক্যাটাগরির মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে, Yamaha R15 V3 বেশিরভাগ সময় তালিকার শীর্ষে থাকে। সকল প...
Bangla Englishপ্রতিটা বাইকারের একটি স্বপ্নের বাইক থাকে যেমনটি আমারও আছে। স্বপ্নের বাইক নিয়ে রাইড করতে সবারই ভালো লাগে। আমার স...
Bangla Englishআসসালামু আলাইকুম।আমি শাহরিয়ার তন্ময়।আমার বাসা রাজশাহী জেলার বাগমারা থানায় তবে পড়াশোনার জন্য ২০১১ সাল থেকে রাজ...
Bangla Englishছোটবেলা থেকেই আমি বাইক প্রেমী এবং বাইক আমার কাছে খুব পছন্দের একটি বাহন। আমি বাইক নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করত...
Bangla English