আমি যাতায়াতের জন্য বাইককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি বেশি কারণ এই বাহনের মাধ্যমে সহজেই যে কোন স্থানে যাতায়াত করা যায়। যখন আমি একটি বাইক কিনবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন বাজারে অনেক ব্রান্ডের বাইক গবেষণা করে দেখেছি কিন্তু আমার পছন্দ একটু ইউনিক ডিজাইনের বাইক যার কারনে আমার নজরে আসে Zontes 155 G1বাইকটি। সব কিছু বিচার বিবেচনা করার পর আমি কিনে ফেলি এই বাইক।
বিগত ১.৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি ব্যবহার করছি এই Zontes 155 G1বাইক এবং এই সময়কালে আমি রাইড করেছি মোট ৪৬,০০০ কিলোমিটার। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার এই এত দিনের বাইক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করি এই ৪৬,০০০ কিমি রাইডের অভিজ্ঞতা Zontes 155 G1 বাইক সম্পর্কে আপনাদের পুর্ন ধারণা দিবে।
প্রথমে আলোচনা করা যাক এই বাইকের ভালো বিষয়গুলো নিয়ে
আমার কাছে সর্বপ্রথম ভালো লেগেছে এই বাইকের ইউনিক ডিজাইন ও গঠন। Zontes 155 G1 বাইকটাকে খুব সহজেই অন্যান্য বাইকের থেকে ডিজাইনের দিক থেকে আলাদা করতে পারি এবং অনেকেই এই বাইকের দিকে অধীর আগ্রহে চেয়ে থাকে।
ব্রেকিং সিস্তেমটাও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে , সামনের পেছনের ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম এর ফিডব্যাক যে কোন মুহুর্তে দুর্দান্ত পারফরম করে। ৪৬ হাজার কিমি রাইড করার পর এখনও ব্রেকিং থেকে ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছি।
সিটিং পজিশন অনেক আরামদায়ক মনে হয়েছে আমার কাছে। এই বাইক নিয়ে আমি বেশি লং ট্যুর করি এবং একটানা ৪০০-৫০০ কিমি রাইড করেও কোন অস্বস্তি বোধ করিনি । আরামের দিক থেকে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এই বাইক।
মাইলেজ নিয়ে বলতে গেলে আমার কাছে মনে হয়েছে যে এই সেগমেন্টের অন্যান্য বাইকের থেকে তুলনামূলক মাইলেজ অনেক ভালো। কারণ এই বাইকের বোল্ড ডিজাইন, অত্যাধুনিক ফিচারস সব কিছু মিলিয়ে খুব ভালো মাইলেজ সরবরাহ করতে সক্ষম। শহরের মধ্যে আমি ৪৮ কিমি এবং হাইওয়েতে প্রায় ৫০ কিমি এর উপরে মাইলজে বর্তমানে পাচ্ছি। মাইলেজ নিয়ে আমি অনেক সন্তুষ্ট।
বিল্ড কোয়ালিটি ৪৬০০০ কিমি রাইডের পর বুঝতে পারলাম যে অনেক ভালো কারণ এখনও বাইকের মেজর তেমন কোন পার্টসের ক্ষতি হয়নি। এদিকে এই বাইকের ২০ লিটারের মাস্কুলার ফুয়েল ট্যংকারের কারনে লং রাইডে অনেক ভালো সাপোর্ট পাই।
এইবার বলি এই বাইকের মন্দ দিক
আমার কাছে এই ৪৬০০০ কিমি রাইডের পর মন্দ তেমন কিছু মনে হয়নি। শুধুমাত্র ইঞ্জিনের শব্দটা আমার কাছে অপছন্দ হয়েছে , বাকি সব ঠিক আছে।
Zontes 155 G1 বাইক নিয়ে বিশাল ৪৬,০০০ কিমি রাইডের এই ছিলো আমার অভিজ্ঞতা। আশা করি আপনারা এই বাইক সম্পর্কে পুর্ন ধারণা পেলেন এবং যারা কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের জন্য বিষয়টি অনেক সহজ হল। ধন্যবাদ।