জীবন রক্ষাকারী কিছু টিপস
মোটরবাইক এমন একটা জিনিস যা পেলে তরুনরা তো বটেই অনেক সময় সিনিয়র মানুষজনও নিজেদের নিরাপত্তা সাথে চলতি পথে মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করেই বাইক চালানো শুরু করে দেয়। আপনার ওপর দোষারোপ করার কিছু নাই যদি আপনার সেরকম এমার্জেন্সী কোন কাজ থেকে থাকে কিন্তু আপনি যদি আপনার নিজের নিরাপত্তা ঠিক না রেখে বাইক নিয়ে বের হউন আর কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে বাইক চালিয়ে দুর্ঘঠনার সম্মুখীন হউন তবে এটা আপনার দোষ। মোটরসাইকেল এমন একটা মেশিন যা কেবল এর রাইডারই এর ওপর নিয়ন্ত্রন রাখে আর ক্ষতিগ্রস্থ হলে এর রাইডারই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। তাই একজন মোটরবাইক রাইডার যখন বাইক চালান তার উচিত সবার আগে নিজের এবং চলতি পথে অন্যান্যদের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেসব বিষয় মাথায় রেখে বাইক নিয়ে বের হউয়া।
তাই বাইক নিয়ে রাস্তায় বের হউয়ার আগে নিম্নলিখিত কয়েকটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে আপনাকে পথে বের হউয়ার আন্তরিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই মৌলিক বিষয়গুলা যেমন আপনাকে নিরাপদ রাখবে সেই সাথে আপনার আশপাশের পথচারীদেরও নিরাপদ রাখবেঃ
১। হেলমেটঃ এই বস্তুটি হলো মোটরসাইকেলের চালানোর প্রথম এবং অন্যতম প্রধান নিরাপত্তার বাহক। হেলমেটের আরেকটি নাম হলো জীবন রক্ষাকারী। হেলমেটের কথার বিপরীতে আপনি আপনার মোটরসাইকেলের সাইজ বা শক্তির যুক্তি দেখানো আপনা কোনভাবেই উচিত হবে না। আমাদের বেশিরভাগ অভিজ্ঞ বাইক রাইডাররা তাদের সাথে ঘঠে যাওয়া দুর্ঘঠনার কথা স্বরন করতে গিয়ে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান কারন তিনি হেলমেট সাথে নেওয়ার মত জ্ঞান দিয়েছিলেন। আমরা আমাদের পাঠকদের বিনীত অনুরোধ করবো তারা যখনই বাইক নিয়ে বাইরে বের হবেন দুরত্ব বা আপনার গন্তব্য যেখানেই হউক না কেন, হেলমেট সাথে নিতে কখনই ভুল করবেন না।
২। মাথা গরম বা মেজাজ গরম অবস্থায় বাইক চালাবেন নাঃ আপনি বিশ্বাস করেন আর নাই ই করেন, আপনি এই অবস্থায় বাইক নিয়ে বের হউন, আপনি হয়তো আপনার জীবনের শেষ পরিনতির সাথে দেখা করে ফেলতে পারেন। বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘঠনায় ঘঠে থাকে মুলত চালকের অন্যমনস্কতার কারনে। শুধুমাত্র একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, সময়ের থেকে আপনার জীবনের মুল্য অনেক বেশি। আপনি চাইলে যেকোন কিছুই করতে পারেন যদি আপনি সুস্থভাবে বেচে থাকেন কিন্তু আপনি যদি বেচেই না থাকেন আবার বেচে আছেন তো গুরুতর আহত বা পঙ্গু অবস্থায় তাহলে তো আর চাইলেই সবকিছু পারবেন না। তাই বাইক নিয়ে বের হলে কখনই তাড়াহুড়া করবেন না, মেজাজ ঠান্ডা হলে তারপর বাইক নিয়ে বের হউয়ার চিন্তা করবেন। যদি খুব বেশিই প্রয়োজন মনে হয় তাহলে একজনকে সাথে নিতে পারেন যে ভাল বাইক চালানো জানে।
৩। যাত্রা শুরু করা আগে বাইকের গুরুত্বপুর্ন পার্টসগুলা চেক করে নিনঃ আপনার কাছে এই পয়েন্টটা খুব বেশি গুরুত্বপুর্ন মনে নাও হতে পারে। আমাদের সবারই কেউ না কেউ ক্ষতি চাই। আপনি যদি মনে করেন আপনার আশপাশেই এমন ব্যক্তি আছে যারা এমনটা করতে পারে তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত কিছু আপনার বাইকের কিছু জিনিস মাত্রা শুরু করার আগে চেক করে নেওয়া তারমধ্যে অন্যতম হলোঃ ব্রেকের লাইন চেক করে নেওয়া, তেলের লাইন দেখে নেওয়া এবং এমন ছোটখাটো কিছু বিষয় যা নিয়ে আপনি ইতোমধ্যে সংকার মধ্যে আছেন।
৪। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সাথে নেওয়াঃআপনি সহজেই অনুমান করতে পারেন যে আমি কি বলতে যাচ্ছি। গরমের মধ্যে আপনি আপনার সুরক্ষার জন্যে জ্যাকেট ব্যবহার করতে পারবেন না তাই আপনার উচিত হবে এলবো গার্ড এবং গ্লাভস আপনার হাতের সুরক্ষায় ব্যবহার করা। দুর্ঘঠনা কখনই বলে আসবে না তাই পুর্বপ্রস্তুতি আপনাকে আগে থেকেই নিয়ে রাখতে হবে যেন দুর্ঘঠনা ঘঠলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান যথাসম্ভব কমানো যায়।
সবসময় মনে রাখবেন, জীবনটা আপনার এবং সুরক্ষিত রাখার রাখার প্রস্তুতিও আপনাকে নিতে হবে। বাকিটা আল্লাহ’র ইচ্ছা।
হ্যাপী বাইকিং।