মোটরবাইক চালানোর সময় যে ভুল গুলো আপনার জীবন নাশের কারন হতে পারে
এটা অনুমান করা করে বলা খুব সহজ যে যেকোন দুর্ঘঠনা চালকদের সামান্য ভুলেই হয়ে থাকে। যদি কেউ মাথা ঠান্ডা রেখে চলতি পথে সদাসতর্ক থেকে নিজ নিজ বাহন ড্রাইভ করে তাহলে সড়ক দুর্ঘঠনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এখানে বলা যেতেই পারে যে বেশিরভাগ নতুন এবং তরুন বাইকাররা পথের কোনরকম নিয়মনীতির খেয়াল না করেই তাদের বাহন চালিয়ে থাকেন। কিন্তু যদি জীবনের ঝুকির কথা উল্লেখ করা হয় তবে আমি বিশ্বাস করি যে সবাই ই আইন আর নিয়ম মেনে পথ চলবেন। অন্যদিকে একজনের জীবন কখনও তার একার না, কারন আমাদের সবারই পরিবার আছে। যদিও মোটরসাইকেলই সড়ক দুর্ঘঠনার একমাত্র কারন না কিন্তু বলা চলে সড়ক দুর্ঘঠনার যা খবর আমরা পাই তার ৫০ ভাগেরও বেশি মোটরসাইকেলের মাধ্যমেই হয়ে থাকে আর দুর্ঘঠনার শিকার বেশিরভাগ মোটরসাইকেল চালক তাদের শেষ পরিনতির সম্মখীন হউন অথবা পঙ্গুত্ব বরন করেন। আমরা জানি যে চার চাকা অথবা তিন চাকার প্রতিটা বাহনই শক্ত প্রলেপ দিয়ে ঢাকা থাকা যার দ্বারা ছোটখাটো দুর্ঘঠনায় বাহনের সামান্য ক্ষতি ছাড়া প্রানহানী হয় না কিন্তু একটা সাধারন দুর্ঘঠনাও যদি মোটরসাইকেল চালকের সাথে ঘঠে যায় তবে তা তার মোটরসাইকেল বাদেই তার নিজের সর্বোচ্চ ক্ষতি সাধন করে ছাড়ে।
তাই আপনার জানা উচিত যে সেই সকল বুলগুলো কি কি যার দ্বারা আপনি চাইলেও নিজেকে বড় রকমের ক্ষতি থেকে বাচাতে পারবেন নাঃ
১। দুরুত্ব অনুমানে ব্যর্থতা: এইটা মুলত চলতি পথে আপনার থেকে আপনার নিকটবর্তী অর্থাৎ আগেপিছের বাহনের দুরুত্ব কতটা হউয়া উচিত তা নিয়ে। আপনি যদি যথেষ্ট দুরুত্ব বজায় না রাখেন আর আপনার সামনের বাহন হঠাত করে ব্রেক করে দেয় তাহলে আপনি নিজেও হঠাত করে ব্রেক করতে গিয়ে ভারসাম্য হারাতে পারেন আর এই কারনে আপনার সাথে কি হতে পারে তা আপনি ভাল করেই বুঝতে পারছেন। এই দুরুত্ব অনুমানের দক্ষতা আপনাকে মোটরসাইকেল চালানোর প্রশিক্ষনের সময় অর্জন করে নিতে হবে আর প্রশিক্ষনের অন্যতম গুরুত্বপুর্ন পার্ট হলো এই দুরুত্ব অনুমান। বলে রাখা ভাল যে, দুরুত্বানুমান অনেকটা আপনার মনের সাহসের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি সামান্য দুরুত্ব রেখে মনে সাহস রেখে নিজের বাইকের নিয়ন্ত্রন করতে পারেন তাহলে তা অবশ্যই আপনার দক্ষতা এবং এই দক্ষতা অর্জন করতে কিছুটা সময় নিতে হবে।
২। মানসিকভাবে দুঃশ্চিন্তায় থাকাঃ আপনি এই ব্যাপারটা খুব সহজেই ধারনা করতে পারেন যে যদি চলতি পথে কোন ড্রাইভার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে বা মানসিকভাবে অন্যমনস্ক হয়ে থাকে তাহলে পথের মধ্যে কোন ধরনের ঘঠনা ঘঠে যেতে পারে। সে ব্যক্তি নিজে তো ওপারের রাস্তা খুজে নিতে পারে সাথে আশেপাশে থাকা অন্যসবাইকেই সাথে নিয়ে যেতে পারে তাই আপনি নিজেও কখনও মন খারাপ বা মনের মধ্যে রাগ থাকলে বাইক নিয়ে বের হবেন না।
৩। নিয়ন্ত্রন হারানোঃবেশিরভাগ দুর্ঘঠনায় ঘঠে থাকে এই এক কারনে। মাঝে মাঝে এমন ঘঠনার মুখোমুখি হবেন যেখানে আপনি নিজের বাইকের ব্রেক কোথায়, ক্লাচ কোথায় অথবা বাইক নিয়ন্ত্রনের অন্যান্য অংশগুলা কোথায়? আমাদের পরামর্শ হলো সবসময় ধীর স্থীরভাবে বাইক চালান এবং বাইকের গতি কখনই এতটা উঠাবেন না যে গতি নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে আপনাকে বেগ পেতে হয়।
৪। সেফটি উপকরন ছাড়া বাইক নিয়ে বের হউয়াঃবেশিরভাগ পরিসংখ্যান আমাদের বলে যে বাইকাররা দুর্ঘঠনার সম্মুখীন হয়ে মৃত্যুর মুখোমুখী হয় তাদের হেলমেট না থাকার কারনে। আমরা সবাই জানি যে গরমের সময় হেলমেট খুব বিরক্তিকর কিন্তু আপনার এটা খেয়াল রাখা উচিত যে আপনার জীবনের মুল্য সেই সামান্য গরমের থেকে অনেক বেশি। তাই সময় বা আবহাওয়া যা ই হউক না কেন হেলমেট সাথে নিতে কখনই গাফিলতি করবেন না আপনার নিজের সুরক্ষার স্বার্থেই।
উপরে আমরা যেসকল কারন উল্লেখ করেছি তা শুধুমাত্র বড়ধরনের ভুলগুলা যা একজন বাইকার সাধারনত করে থাকে। এ বাদেও চলতি পথে কি কি ভুল হয়ে থাকে তা একজন বাইকারই ভাল জানে। জীবনটা আপনার, এটাকে নিরাপদ রাখার দায়িত্বও আপনার।
হ্যাপী বাইকিং।