শীতে বাইকারের চেষ্ট প্রটেক্টর
রোদে পোড়া, বৃষ্টিতে ভেজা আর শীতে কাপাকাপি করাই বাইকারের ভাগ্য। ছাদবিহীন বাহনের কারনে বাইকারদের এই কষ্টগুলো মেনে নিতেই হয়। তিনটি সময়েই কমবেশি কষ্ট করতে হয়। তিন সময়ের কষ্ট একেবারেই তিন রকম। বাংলাদেশে যদিও শীতকাল খুবই অল্প সময়ের জন্য। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারী সর্বোচ্চ এই দুইমাস শীতের তীব্রতা থাকে। এ সময়ে মাঝে মাঝে নিম্নচাপ, শৈত প্রবাহ এবং কখনও বৃষ্টি কষ্টের পরিমান বাড়িয়ে দেয়। এ সময়ে গরম কাপড়ের সাথে প্রয়োজন একটি চেস্ট প্রটেক্টর যেটি মুলত শীতের বাতাসকে বুকে লেগে ঠান্ডা লাগানোর হাত থেকে বাচাবে।
চেস্ট প্রটেক্টর কি?
এটি মুলত এক ধরনের পোশাক যা বুকের সামনের দিকে পরা হয় শীতের সময় বাতাসের হাত থেকে বাচার জন্য। সাধারন শীতেও বাইকের গতির কারনে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় এ বাতাস বুকে লাগলে ঠান্ডা লেগে যাওয়া সুনিশ্চিত। এসময়ে অন্য পোশাক না থাকুক অন্তত চেস্ট প্রটেক্টর থাকলে ঠান্ডার প্রকোপ অনেক কম অনুভত হয়। সাধারন চেস্ট প্রটেক্টর গুলোতে তিনটি অংশ থাকে। সামনের অংশ যেটি বুককে ঠান্ডা বাতাসের হাত থেকে রক্ষা করবে। গলার ব্যান্ড, যেটি গলার সাথে আটকে রাখবে এবং গলার দিক থেকে ঠান্ডা নীচের দিকে নামতে বাধা দিবে। রয়েছে পেছনের ফিতা বা ব্যান্ড যেটি শরীর পেচিয়ে পিঠের দিকে শক্তভাবে আটকে দেয়া যায়। চেষ্ট প্রটেক্টরগুলো মুলত গলা থেকে শুরু করে কোমর পর্যন্ত সামনের দিকের বাতাসকে কে বাধা দিতে পারে।
কেন চেস্ট প্রটেক্টর?
শীতের সময় আমাদের দেশে চাদর-জ্যাকেট-কোট-সোয়েটার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এগুলোর সবগুলো দিয়েই বাতাস ঢুকে শরীর ঠান্ডা করে ফেলে। এমনকি গরম জ্যাকেটের সামনের চেইন ভেদ করে ঠান্ডা বাতাস বুকে লেগে ঠান্ডা লাগিয়ে দেয়। আর তাই জ্যাকেট বা চাদরের নীচে অতিরক্ত সতর্কতা হিসেবে চেস্ট প্রটেক্টর খুবই কার্যকরী একটি পোশাক। শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই দরকারী। বিশেষ করে শীতের সেই সময়গুলোতে যখন গরম কাপড় পরার প্রয়োজন পড়ে না অথচ বাইক চালালে ঠান্ডা লাগে এমন সময় শার্টের সামনে প্রটেক্টরটি বেধে নিলে খুবই আরাম দায়ক এবং অনাকাঙখিত ঠান্ডা লাগার হাত থেকে সহজেই রক্ষা পাবেন।
কোন ধরনের চেষ্ট প্রটেক্টর কিনবেন?
বাজারে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশী প্রটেক্টর পাওয়া যায়। এমনকি আপনি বানিয়েও নিতে পারেন সীমিত খরচে। বাজারে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামেরই পাওয়া যায়। কেনার সময় খেয়াল করবেন যেন সামনে কোনো চেইন না থাকে এবং প্রটেক্টরটি কাপড়ের তৈরী না হয়ে রেক্সিন বা এই জাতীয় জিনিস দিয়ে তৈরী হয় তাহলে বাতাস থেকে শতভাগ রক্ষা পাওয়া যাবে। যদিও কাপড়ের তৈরী প্রটেক্টরগুলো নরম এবং পরতে আরামদায়ক হয়্ কিন্তু তীব্র বাতাস থাকলে কাপড়র ভেদ করে ঠান্ডা বাতাস ঢুকে পড়ে। সাধারন চেস্ট প্রটেক্টরগুলো শীতকালীন পোশাক পাওয়া যায় এমন দোকানগুলোতে পাওয়া যায়, এছাড়াও বাইকের সেফটি গিয়ারস গুলো যেসব দোকানে পাওয়া যায় সেখানেও পেতে পারেন। সামনে চেইনযুক্ত চেষ্ট প্রটেক্টর কিনবেন না।
পরিশেষে
শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩০০-৪০০ টাকা খরচ করেই আপনি পেতে পারেন শীতের সর্বোচ্চ সুরক্ষা। সাধারন সময়ে শার্টের উপরেই ব্যবহার করে এবং তীব্র শীতে জ্যাকেট/সোয়েটারের নীচে/উপরে পরে ঠান্ডা বাতাস হতে শরীরকে বিশেষ করে বুকে ঠান্ডা লেগে যাবার হাত থেকে রক্ষা করতে চেস্ট প্রটেকটরের ভুমিকা অপরিসীম।
সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।