যে কারনে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হতে পারে
মোটরযান আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স যে কোন মোটরচালিত বাহনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। একজন বাইক রাইডারের ক্ষেত্রেও ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আমাদের অনেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বা কিছু কিছু কার্যসম্পাদন এর মাধ্যেম ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল বলে গন্য হতে পারে।
আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি কি কি কারনে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল বলে গন্য হতে পারে সেই সকল কারণ নিয়ে। তাহলে চলুন দেখে নিই কারণগুলোঃ-
সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮
( ২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন )
১২। (১) কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির নিকট যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তি অসুস্থ্, অপ্রকৃতিস্থ, শারীরিক বা মানসিকভাবে অক্ষম, মদ্যপ, অভ্যাসগত অপরাধী বা অন্য কোনো কারণে মোটরযান চালাইতে অযোগ্য, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে মোটরযান চালাইবার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করিতে বা তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করিতে পারিবেন।
(২) কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তি এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের কোনো বিধান বা লাইসেন্সে প্রদত্ত কোনো শর্ত অথবা সরকার বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, সময় সময়, জারিকৃত কোনো আদেশ, পরিপত্র বা নীতিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে, কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করিতে পারিবে।
(৩) কোনো ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে তিনি কোনো মোটরযান চালাইতে পারিবেন না।
(৪) এই ধারার অধীন কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে, উহা পুনর্বিবেচনার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ে উহা নিষ্পত্তি করিবে এবং আবেদন মঞ্জুর করা হইলে তাহাকে প্রদত্ত পূর্বের লাইসেন্স পুনরুজ্জীবিত হইবে।
(৬) ড্রাইভিং লাইসেন্সের কর্তনকৃত পয়েন্ট পুনরুদ্ধার এবং পয়েন্ট কর্তনজনিত কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৭) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের দায়ে উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হইলে, উক্ত ব্যক্তি যে আদালত কর্তৃক দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হইয়াছেন, সেই আদালত আইনে অনুমোদিত দণ্ডাদেশের অতিরিক্ত হিসাবে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারণ বা নির্দিষ্ট শ্রেণি বা ক্যাটাগরির মোটরযান চালনার অযোগ্য ঘোষণা বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করিতে পারিবে।
(৮) এই ধারার অধীন ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তিকে অযোগ্য ঘোষণা, অথবা তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে, তাহা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেকর্ডভুক্ত করিতে হইবে।
তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সঠিক ব্যবহার ও রাস্তার নিয়ম, দেশের নিয়ম কানুন ইত্যাদি মেনে বাইক রাইড করলে দেশের জন্য তথা নিজের জন্য অনেক কল্যাণকর । আসুন আমরা শপথ করি যে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাইক রাইড করবো না এবং রাস্তার যে নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে মেনে চলবো।
যে সকল কারনে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পয়েন্ট কাটা যাবে।
এদিকে আইন অনুযায়ী ৯টি কারনে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল বলে গন্য হতে পারে। একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এ ১২টি পয়েন্ট থাকে এবং এই পয়েন্টগুলো ৯টি কারনে বাতিল হতে পারে কিন্তু আমাদের দেশে এর বাস্তবায়ন এখনও সেভাবে চোখে পড়েনি বা আমরা এরকম বিষয় সচারচার দেখতে পাই না। যে ৯টি কারনে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হতে পারে তা হলঃ-
১. লাল বাতি অমান্য করে মোটরযান চালানো;
২. পথচারী পারাপারের নির্দিষ্ট স্থানে বা তার কাছে বা ওভারটেকিং নিষিদ্ধ স্থানে ওভারটেক;
৩. মোটরযান না থামিয়ে সরাসরি প্রধান সড়কে প্রবেশ;
৪. সড়কে নির্দেশিত গতিসীমা লঙ্ঘন;
৫ ইচ্ছাকৃত পথ আটকে বা অন্য কোনোভাবে মোটরযানের চলাচলে বাধা সৃষ্টি;
৬. একমুখী সড়কে বিপরীত দিক থেকে মোটরযান চালানো;
৭. বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে মোটরযান চালানো ও ওজনসীমা লঙ্ঘন;
৮. মদ্যপ বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মোটরযান চালানো;
এবং
৯. বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য যেকোনো বিষয়ে।
উৎস ১- বিআরটিএ এর নিজস্ব ওয়েব সাইট
উৎস; ২ -
https://www.newsbangla24.com/news/180410/There-are-no-rules-so-the-driver-is-not-afraid-of-revoking-the-license