নতুন বাইকারদের জন্যে কিছু গুরুত্বপুর্ন টিপস
বর্তমান সময়ে মোটরসাইকেলটা অনেকটা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের চাহিদা এবং ফ্যাশনের মত হয়ে গেছে। এটা অনেকটা লজ্জাজনক যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি মোটরসাইকেল চালানো না জানে। একই সাথে বর্তমান সময়ের তরুন প্রজন্মের কাছে মোটরসাইকেল একরকম আসক্তির মত। তাদের মধ্যে কিছু আছে যারা তাদের পিতামাতাকে বাধ্য করে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্যে অনেকটা পাগলের মত যা তাদের পিতামাতাকে অনেক সময় দুঃচিন্তায় ফেলে দেয়। পাশাপাশি এই একই বয়সী কিছু তরুন আছে যারা নিয়ন্ত্রনহীনভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজের ও পথচারীর জীবন বিপদে ফেলে থাকে। একজন বাইকারের বোঝা উচিত যে বাইক চালানো শুরু করার পর বেশকিছু বিষয় জানার আছে বিশেষত যখন একজন নতুন বাইকার হাইওয়ে বা শহরের মুল রাস্তায় বাইক চালানো শুরু করে। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, বেশিরভাগ নতুন বাইকারই নিয়মনীতির কোন খেয়ালই করেন না যখন নতুন অবস্থায় বাইক চালাতে রাস্তায় উঠেন ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন না পুলিশ বা আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
আমাদের পক্ষ থেকে নতুন বাইকারদের জন্য কিছু আন্তরিক পরামর্শ রয়েছে যা একজন নতুন বাইকার হিসেবে সকলের জানা উচিত। আপনি খুব ভাল করেই জানেন যে যেকোন বিষয়ে প্রাকটিস আপনাকে আপনার দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে। তাই আপনার উচিত আমাদের দেওয়া নিম্ন লিখিত পরামর্শগুলা খেয়াল করাঃ
১। কিভাবে গতি নিয়ন্ত্রন করতে হয় তা ভালভাবে জানুনঃ সাধারনভাবে এই টপিকটা আমাদের পাঠকদের কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে কিন্তু আপনি যদি আপনার বাইকের গতি নিয়ন্ত্রনে পাকাপোক্ত না হউন তবে এই একটা কারনই আপনাকে দুর্ঘঠনায় ফেলতে যথেষ্ট। আপনি গতি উঠাতে পারবেন খুব সহজেই কিন্তু যদি তা নিয়ন্ত্রন করার বিচক্ষনতা বা উপায় আপনার জানার ঘাটতি থাকে তবে আপনার জন্য সমুহ বিপদ অপেক্ষা করছে।
২। শুরুটা হউয়া উচিত স্বল্প শক্তির মোটরসাইকেল দিয়েঃআপনি যদি কেবলমাত্র মোটরসাইকেল চালানো শিখে থাকেন তাহলে শুরুতেই আপনাকে বেশি শক্তির মোটরসাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকা উচিত। আমাদের বেশিরভাগ অভিজ্ঞ রাইডাররা ১০০সিসি বা তার থেকে বেশি বাইকগুলাকে শক্তিশালী বাইক হিসেবে অভিহিত করে থাকে তাই একজন নতুন রাইডারের উচিত হবে না হুট করে এমন বাইক নিয়ে রাস্তায় বের হউয়া অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত এই ধরনের বাইক চালানো।
৩। সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করুনঃএই ব্যাপারটা সকল শ্রেনির রাইডারের জন্যে প্রযোজ্য। প্রটেকশন ছাড়া আপনার কখনই বাইকিং প্রাকটিস করা উচিৎ না বিশেষত হেলমেট, হ্যান্ড গ্লাভস এবং জুতা ছাড়া। এইগুলা দুষ্প্রাপ্য না আবার পরিধান করাও কঠিন না। সবচেয়ে ভাল হবে আপনি যদি আপনার পরিচিত অভিজ্ঞ কোন রাইডারকে এই বস্তুগুলার গুরুত্ব জিজ্ঞেস করে দেখেন, তারাই বলবে যে এইগুলা কতবার তাদের জীবন বাচিয়েছে। এগুলা না থাকলে মোটরসাইকেল নিয়ে চলতি পথে সামান্য ঘঠনা অনেক বড় দুর্ঘঠনার কারন হয়ে যেতে পারে।
৪। সংগে একজন অভিজ্ঞ রাইডারকে সাথে রাখুনঃএটা খুব ভাল হবে আপনার জন্য যদি আপনি একজন জানাশোনা ব্যক্তিকে আপনার পেছনের সীটে নিতে পারেন মেইন রোডে নতুন নতুন ওঠার পরে। মাঝে মাঝে নতুন অবস্থায় একটু কঠিন পরিস্থিতি সামনে পড়লে অনেক সময় অভিজ্ঞ চালকও কি করতে হবে তা ভুলতে বসে। তাই আপনার পেছনের সিটে ঠান্ডা মাথার কোন অভিজ্ঞ মানুষ থাকলে তিনি আপনাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী কি করতে হবে তা বলে দিতে পারবেন। এই প্রসেসগুলা সাধারনত কোন ড্রাইভিং প্রসেসের অংশ না কিন্তু সতর্কতার অংশ হিসেবে সকলেরই মেনে চলা উচিত।
৫। ফ্রি এবং ফ্রেশ মনে বাইক চালানোর চেষ্টা করুনঃআপনি যদি মানসিকভাবে দুঃশ্চিন্তামুক্ত না থাকেন বা কোন কারনে আপনার মন খারাপ থাকে তবে যথাসম্ভব মোটরসাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকুন। আপনার মনে যদি রাগ থেকে থাকে তবে সেটা হয়তো আপনার বাইকের গতির ওপর যেয়ে পরতে পারে। যদি আপনার মোটরসাইকেল ব্যতীত অন্য কোন উপায় না থেকে থাকে সেক্ষত্রে আপনার উচিত হবে বাইক ভাল চালাতে পারে এমন একজনকে বাইক চালাতে দিয়ে পেছনের সিটে আপনার বসে যাওয়া।