মোটরসাইকেলের জ্বালানী বাচানোর কিছু কার্যকরী টিপস
জ্বালানী মোটরসাইকেলের রক্ত হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশে গত পাঁচ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাড়ছে জ্বালানির দাম। এখন প্রায় ১০০ টাকা প্রতি লিটার। এটি কয়েক বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এখন বাড়তি জ্বালানী ব্যয় বাইকের মালিকের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার বাইকের ব্র্যান্ড যা ই হউক কখনও তা মুখ্য বিষয় নয় তবে জ্বালানী ব্যয়টি বাইকের একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। কিছু বাইক রয়েছে, যা সাধারণত কম জ্বালানী গ্রহণকারী বাইক হিসাবে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ: বাজাজ ডিসকভার ১০০, টিভিএস মেট্রো এবং এই সেগমেন্টের অন্যান্য বাইক। আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অনুসরণ করে আপনাদের জ্বালানী ব্যয় হ্রাস করতে পারে।
এই পক্ষেপগুলা সাধারনত দুইভাগে ভাগ করা যেতে পারেঃ
১। বাইক চালানোর ধরনে পরিবর্তন আনা।
২। বাইকের মেইন্ট্যানেন্সের দিকে খেয়াল রাখা।
Steps can be divided into two section:
১। বাইক চালানোর ধরনে পরিবর্তন আনাঃ
বাইক ভালানোর সময় আমরা যদি সাধারন কিছু নিয়ম মেনে বাইক চালায় তবে তা আমাদের বাইকের ফুয়েল অনেকটাই বাচাতে পারে। নিম্নে কিছু নিয়ম উল্লেখ করা হলোঃ
বাইকের গতি
বাইকের গতি তেল খরচের সাথে অনেক ঘনিষ্টভাবে জড়িত। বাইকের গতি হুট করে বাড়িয়ে দেওয়া কখনই উচিত না কারন তা অনেক পরিমান তেল খরচের অন্যতম কারন। একইসাথে একটানা উচ্চ গতিতে বাইক চালানোও অতিরিক্ত তেল খরচের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারন। সবচেয়ে ভাল হবে আপনি যদি আপনার বাইকের গতি ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় মেইন্টেইন করতে পারেন। এই গতি আপনার বাইকের তেলের খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনবে সাথে ভাল নিয়ন্ত্রনও আপনি পেয়ে থাকবেন।
ইঞ্জিন
সাধারনত আমরা দেখে থাকি যে আমাদের দেশের বাইক রাইডাররা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকার সময় তাদের বাইকের ইঞ্জিন চালু রেখে দেন যা বেশ ভাল মাপের রেল অপচয় করে থাকে তাই সকলের উচিত এইরকম অবস্থায় ইঞ্জিন বন্ধ রাখা।
দুইজন বহন করা
এইটা খুবই সাধারন বিষয়। পারিবারিক বা বন্ধুমহল সামলাতে গেলে আমাদের বাইকের পেছনে কাউকে না কাউকে বহন করাই লাগে। দুইজন বহন করলে ইঞ্জিনের ওপর অনেক প্রেসার পড়ে যার দরুন তেলের খরচও বেশি হয়। তাই চেষ্টা করা উচিত দুইজন বা তিনজন বাইকে না নেওয়ার।