কখন মোটরসাইকেলের টায়ার পরিবর্তন করা উচিত?
মোটারসাইকেলে টায়ার একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। এটি যেমন জ্বালানিতে এফেক্ট ফেলে তেমনি নিরাপত্তাতেও। আপনার এবং আপনার বাইকের নিরাপত্তার জন্য যথা সময়ে টায়ার পরিবর্তন করা প্রয়োজন। টায়ার পরির্তনের জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু লক্ষনের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যেমন টায়ারটি কত পুরাতন, এর বিট গুলো কেমন আছে, টায়ারে কোন ক্ষত বা দুর্বল দিক আছে কি না। টায়ারটি একাধিকবার লিক/পাংকচার হয়েছে কি না ইত্যাদি। এক বা একাধিক লক্ষন দেখা দিলেই টায়ার পরিবর্তন করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থেই টায়ার পরিবর্তনে কোনোমতেই অবহেলা করা যাবে না। আসুন জেনে নেই কখন আপনার মোটরসাইকেলের টায়ার পরিবর্তন করবেন।
টায়ারটি যদি একাধিকবার পাংকচার হয়
বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচলে টায়ার পাংকচার খুবই সাধারন ঘটনা। রাস্তায় পেরেক, পিন এই জাতীয় জিনিস অনেক বেশি পরিমানেই থাকে। আর পেরেকে টায়ার পাংকচার হয়নাই এরকম বাইকার খুজে পাওয়া যাবে না। প্রতিবার পাংচারেই টায়ারে ক্ষত তৈরী হয়। আর যে সকল টায়ার টিউবলেস সেগুলো বেশি সংখ্যকবার পাংকচার হলে টায়ার পাল্টাতে আর আর দেরী করা উচিত নয়।
যদি টায়ারে দুর্বলতার ছাপ পড়ে
টায়ারে দুর্বলতার ছাপ পড়ার একাধিক কারন রয়েছে। দেশের আবহাওয়ার ধরন অবশ্যই অন্যতম একটি কারন। এছাড়াও ওভারলোড, হাইস্পীডে বাইক চালানো, ঘন ঘন ব্রেকিং, খারাপ রাস্তায় বাইক চালানো ইত্যাদি কারনে বাইকের টায়ার দুর্বল হয়ে যেতে পারে। টায়ার দুর্বল হবার নির্দিষ্ট কোনো সময় যদিও নেই কিন্তু উপরোক্ত কারনে যদি দুর্বল হয়ে যায় তাহলে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের পরামর্শক্রমে টায়ার বদলে ফেলা উচিত।
যদি চাকার থ্রেড/বিট বেশি ক্ষয় হয়ে যায়
টায়ারের বিট রাস্তায় ঘর্ষনজনিত কারনে চাকাকে রাস্তার সাথে আটকে রাখে এবং ব্রেকিং এ সহায়তা করে। টায়ারের বিট ক্ষয় হয়ে পাতলা হয়ে গেলে টায়ার বদলে ফেলা উচিত। বিশেষকরে বর্ষার দিনে এই কাজে মোটেও দেরী করা উচিত নয়। টায়ারের বিট কমপক্ষে ১মিলিমিটার অথবা এর বেশি থাকা উচিত। টায়ারের বিট বেশি পাতলা হয়ে গেলে টায়ার যেমন অরক্ষিত হয়ে যেকোন সময়ে ফেটে যেতে পারে, একই সাথে ব্রেকিং সময় পিছলে দুর্ঘটনার কারন হতে পারে।
যদি টায়ার বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়
কোনো কারনে টায়ারে কোনো গর্ত তৈরী হলে, কোনো অংশ ছিড়ে গেলে বা ফেটে গেলে, আচমকা ব্রেক বা কোনো কারনে টায়ারের কোনো অংশ বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হলে সেই অংশটি দুর্বল হয়ে যায় ফলে টায়ারটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে বা ব্যবহারের জন্য হুমকিস্বরূপ। এক্ষেত্রে টায়ার ব্যবহারে দেরী করা উচিত নয়।
প্রতিটি মোটরসাইকেলেরই রয়েছে নির্ধারিত টায়ার। সবসময়েই চেষ্টা করা উচিত সঠিক মাপের ভালো ব্রান্ডের টায়ার ব্যবহার করা। সঠিক টায়ার ব্যবহারে তেল খরচ যেমন সহনীয় থাকে তেমনি ব্রেকিং এ সঠিক গ্রীপ পাওয়া যায়।